কুড়িগ্রামের চিলমারীতে দলীয় আনুগত্য না মানা, দলীয় শৃঙ্খলাপরিপন্থি কাজে জড়িত থাকা এবং যুবদল নেতার ওপর হামলা করে গুরুতর জখম করার অভিযোগে উপজেলা বিএনপির সদ্য ঘোষিত আহ্বায়ক কমিটির দায়িত্ব থেকে দুই নেতাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
শুক্রবার (৪ জুলাই) জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মো. মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা ও সদস্যসচিব সোহেল হোসনাইন কায়কোবাদ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ সিদ্ধান্ত জানানো হয়েছে।
জেলা বিএনপির সদস্যসচিব সোহেল হোসনাইন কায়কোবাদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
অব্যাহতি পাওয়া বিএনপির দুই নেতা হলেন, সদ্য ঘোষিত উপজেলা আহ্বায়ক কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক মো. আবু সাঈদ হোসেন পাখী ও সদস্য আব্দুল মতিন শিরিন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, দলের আনুগত্য না মানা, দলীয় শৃঙ্খলাপরিপন্থি কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকা এবং চিলমারী উপজেলা যুবদলের সদস্যসচিব রুহুল আমিন জিয়াকে মারাত্মক জখম করা এবং সেই সঙ্গে দলীয় ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার অভিযোগে সদ্য ঘোষিত চিলমারী উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক আবু সাঈদ হোসেন পাখী এবং সদস্য আব্দুল মতিন শিরিনকে তাদের পদ থেকে অব্যাহতি প্রদান করা হলো।
এর আগে, গতকাল বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) আব্দুল বারী সরকারকে আহ্বায়ক এবং আবু হানিফাকে সদস্যসচিব করে চিলমারী উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়। কমিটি ঘোষণার পরপরই এর বিরোধিতা করে বৃহস্পতিবার দুপুরে যুগ্ম আহ্বায়ক পাখী ও সদস্য শিরিনের নেতৃত্বে লাঠি হাতে বিক্ষোভ মিছিল করেন তাদের অনুসারীরা। তারা ঘোষিত কমিটি বাতিলের দাবি জানান।
একই দাবিতে ওই দিন সন্ধ্যায় উপজেলা শহরে মশাল মিছিল বের করেন বিক্ষুব্ধরা। এর পরপরই উপজেলা যুবদলের সদস্যসচিব রুহুল আমিন জিয়ার ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। এ সময় একাধিক মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয়। গুরুতর আহত জিয়াকে কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তিনি বর্তমানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে দলীয় সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করেছেন অব্যাহতি পাওয়া যুগ্ম আহ্বায়ক মো. আবু সাঈদ হোসেন পাখী।
তিনি বলেন, ‘এটা এদের মনগড়া সিদ্ধান্ত। যাচাই-বাছাই ছাড়াই হঠাৎ করে কী ঘটনা ঘটলো! কে ছিল না ছিল, কে বা কারা করছে! ঘটনাগুলো তো ওদেরই পরিকল্পিত। এখন ওনাদের গা বাঁচানোর জন্য এগুলা করতেছে। এগুলো দলীয় পরিপন্থি কাজ। কাউকে দল থেকে বহিষ্কার করার একটা সাংগঠনিক নিয়মকানুন আছে। যে নাটকগুলা চলতেছে এগুলা এদের সৃষ্টি। এরা এদের মনগড়া জায়গায় আমাদের নাম দিছে আবার এরাই বহিষ্কার করতেছে। এগুলা এদের ব্যক্তিগত ব্যাপার।’
জেলা বিএনপির সদস্যসচিব সোহেল হোসনাইন কায়কোবাদ বলেন, ‘অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় দল এবং দলীয় শৃঙ্খলা রক্ষার স্বার্থে সদ্য ঘোষিত কমিটির দায়িত্ব থেকে দুজনকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।’