রবিবার (৩০ ডিসেম্বর) দুপুর ১টার দিকে টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্রে ভোট দেওয়া শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন। একই কেন্দ্রে তার স্ত্রী সুমনা হক সুমিও ভোট দিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘এ পর্যন্ত প্রায় ৩০টি ভোটকেন্দ্র পরিদর্শন করেছি। সব জায়গায় সুষ্ঠু এবং সুন্দরভাবে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। কোথাও কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা বা ভোট কারচুপির কোনও খবর পওয়া যায়নি।’ এদিকে বিভিন্ন কেন্দ্র পরিদর্শন করে মাশরাফির জন্য তরুণ ও যুবক ভোটারদের মধ্যে ব্যাপক উচ্ছ্বাস ডেখা গেছে। প্রত্যেক কেন্দ্রেই ব্যাপকভাবে তরুণদের ভীড় লক্ষ্য করা গেছে।
নড়াইল-২ (নড়াইল পৌরসভা ও সদরের ৮টি ইউনিয়ন এবং লোহাগড়া উপজেলা) আসনে মাশরাফি বিন মর্তুজার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে মাঠে আছেন বিএনপি প্রার্থী ২০ দলীয় জোটের শরিক ন্যাশনাল পিপলস পার্টি (এনপিপি) একাংশের কেন্দ্রীয় সভাপতি এ জেড এম ড. ফরিদুজ্জামান (ধানের শীষ)। এখানে ৭জন নির্বাচণী লড়াইয়ে অংশগ্রহণ করলেও জাতীয় পার্টি (এরশাদ) এবং এনপিপি (ছালু) প্রার্থী নৌকা প্রতীককে সমর্থন করে সরে দাঁড়িয়েছেন। এ আসনে মোট কেন্দ্র ১৪০টি। এর মধ্যে ৩৬টি ঝুঁকিপূর্ণ। বুথ রয়েছে ৬৪৮টি। ভোটার রয়েছে ৩ লাখ ১৭ হাজার ৮৪৪ জন। এর মধ্যে নারী ভোটার ১ লাখ ৬০ হাজার ৭০৬ জন এবং পুরুষ ভোটার রয়েছে ১ লাখ ৫৭ হাজার ১৩৮ জন।
নড়াইলের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন জানান, অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে নির্বাচন সম্পন্নের লক্ষ্যে সেনাবাহিনীর ৫ শতাধিক সদস্য তাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন। এছাড়া বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা নির্বাচনি কাজে নিয়োজিত রয়েছে।