হিলি রেল দুর্ঘটনার ২৪ বছর, অনেকের ভাগ্যেই জোটেনি ক্ষতিপূরণের অর্থ




হিলি রেল স্টেশন২৪ বছর আগে ১৯৯৫ সালের ১৩ জানুয়ারি হিলি রেলওয়ে স্টেশনে ঘটে যায় এক মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। স্টেশন মাস্টার ও পয়েন্টসম্যানের ভুলের খেসারত দিতে হয় ২৭টি তাজা প্রাণের। দুটি ট্রেনের সেই মুখোমুখি সংঘর্ষের দুঃসহ স্মৃতি নিয়ে আজও অনেকে পঙ্গুত্ব নিয়ে বেঁচে আছেন। তবে আজও এ দুর্ঘটনার তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ হয়নি। ক্ষতিপূরণ পায়নি অনেক নিহত ও আহতদের পরিবার। দুর্ঘটনার পর থেকে প্রতি বছর এই দিনটি ‘হিলি রেল দুর্ঘটনা দিবস’ হিসেবে পালিত হয়ে আসছে।

বাংলাহিলি রেলওয়ে একতা ক্লাবের তৎকালীণ সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন বুলুসহ কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী ও হিলি স্টেশন কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, ১৯৯৫ সালের ১৩ জানুয়ারি শুক্রবার রাত সোয়া ৯টায় ক্রসিংয়ের উদ্দেশে স্টেশনের ১নং লাইনে দাঁড়িয়েছিল গোয়ালন্দ থেকে পার্বতীপুরগামী ৫১১ নং লোকাল ট্রেন। তবে সে সময়ের দায়িত্বরত স্টেশন মাষ্টার ও পয়েন্টসম্যানের অবহেলার কারণে একই লাইনে ঢুকে পড়ে সৈয়দপুর থেকে ছেড়ে আসা খুলনাগামী ৭৪৮নং আন্তঃনগর সীমান্ত এক্সপ্রেস ট্রেনটি। এতে দু’টি ট্রেনের মুখোমুখি সংষর্ষের ঘটনা ঘটে। দুর্ঘটনায় পুরোপুরি দুমড়ে মুচড়ে যায় লোকাল ট্রেনটির ইঞ্জিনসহ তিনটি বগি। পরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, স্থানীয় রেলওয়ে একতা ক্লাবের সদস্যসহ স্থানীয়রা দুর্ঘটনায় নিহত ও আহতদের উদ্ধার করেন।

দুর্ঘটনার পরের দিন ১৪ জানুয়ারি শনিবার তৎকালীণ প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া রেল দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান। তিনি সে সময় ঘোষণা দিয়েছিলেন নিহত ও আহতদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। গঠন করা হবে তদন্ত কমিটি। কিন্তু দুর্ঘটনার ২৪ বছরেও আহত ও নিহতদের অনেক পরিবার পায়নি সেই ক্ষতিপূরণের টাকা। আজও আলোর মুখ দেখেনি তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন।

বাংলাহিলি রেলওয়ে একতা ক্লাবের সভাপতি আমজাদ হোসেন বাংলা ট্রিবিউনকে জানান, ক্লাবের উদ্যোগে দুর্ঘটনায় নিহতদের স্মরণে রেলওয়ে স্টেশন সংলগ্ন ক্লাবচত্বরে প্রতিবছরের ন্যায় আজও দোয়া, মিলাদ মাহফিল, কালো ব্যাজ ধারণ ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে।