না.গঞ্জে পুলিশ-এলাকাবাসী সংঘর্ষে নিহতের ঘটনায় ওসি ক্লোজড

বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজহারুল ইসলাম সরকারনারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলার মদনপুরে আসামি গ্রেফতার করাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে শনিবার পুলিশের গুলিতে আশিক হোসেন নামে এক যুবক নিহত হয়। এ  ঘটনার তথ্য গোপন এবং প্রশাসনিক ব্যর্থতার অভিযোগে বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজহারুল ইসলাম সরকারকে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে। রবিবার (১৩ জানুয়ারি) বিকালে তাকে প্রত্যাহার করা হয়েছে বলে নারায়ণগঞ্জের পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ জানিয়েছেন।

এসপি মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘প্রশাসনিক ব্যর্থতার কারণে তাকে থানা থেকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।’

তিনি জানান, শনিবার পুলিশের সঙ্গে এলাকাবাসীর সংঘর্ষের ঘটনার সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে একজন নিহতের ঘটনায় জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবদুল্লাহ আল মামুনকে প্রধান করে তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির অন্য দুই সদস্য হচ্ছেন– অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (‘খ’ অঞ্চল) খোরশেদ আলম, জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার ওসি (ডিআইওয়ান) সরাফত উল্লাহ। আগামী তিন দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

তদন্ত কমিটির প্রধান ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘তদন্ত কমিটি কাজ শুরু করেছে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়া হবে।’

প্রসঙ্গত, শনিবার রাতে বন্দর উপজেলার মদনপুরি এলাকায় ওয়ারেন্টের আসামি ধরতে অভিযান চালায় বন্দর থানা পুলিশের একটি দল। অভিযানে পুলিশ দিপু ও সুজন নামে দুজনকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারের খবর পেয়ে তাদের সহযোগীরা পুলিশের ওপর হামলা চালিয়ে ওই দুই আসামিকে ছিনিয়ে নিয়ে যায়। এ সময় দু’পক্ষের সংঘর্ষে পুরো এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। সংঘর্ষের সময় গুলিতে আশিক হোসেন নামে এক গার্মেন্টস শ্রমিক মারা যান। আহত  হন পুলিশের উপ-পরিদর্শক-সহ (এসআই) ১৫ জন।