ঝালকাঠিতে জেলা বিএনপির কার্যালয় উচ্ছেদ করে রেস্টুরেন্টের সাইনবোর্ড

ঝালকাঠিতে জেলা বিএনপির কার্যালয় উচ্ছেদ করে রেস্টুরেন্টের সাইনবোর্ড ঝালকাঠিতে অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বের জের ধরে জেলা বিএনপির কার্যালয়ের আসবাবপত্র বের করে দিয়ে তালা মেরে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ভবন মালিক পক্ষের বিরুদ্ধে। ওই কার্যালয়ে একটি রেস্টুরেন্টের সাইনবোর্ডও ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। ফলে দলীয় কার্যক্রম পরিচালনা করার মতো অফিস ঘর না থাকায় হতাশা প্রকাশ করেছেন দলের নেতাকর্মীরা।

গত শুক্রবার বিকালে শহরের ফায়ার সার্ভিস মোড়ে অবস্থিত জেলা বিএনপি কার্যালয়ের সাইনবোর্ড ছিঁড়ে ফেলে দিয়ে ভবন মালিক মৃত রশিদ মিয়ার ছেলে সাইফুল ইসলাম আসবাবপত্র বের করে তালা ঝুলিয়ে দেন। রবিবার দুপুরে দখল করা ওই অফিসের সামনে আরাফাত হোটেল অ্যান্ড রেস্টুরেন্ট নামের সাইনবোর্ড লাগালে বিষয়টি সংবাদকর্মীদের নজরে আসে। এ ঘটনায় বিএনপির পক্ষ থেকে সদর থানায় একটি অভিযোগ দেওয়ার প্রস্তুতি চলছে।

বিএনপি অফিসের তত্ত্বাবধায়ক ফরিদ হোসেন জানান, শুক্রবার জেলা বিএনপির সহসভাপতি ও ঝালকাঠি-২ আসনের মনোনয়নবঞ্চিত নেতা মিঞা আহমেদ কিবরিয়া ফোন করে অফিসের চাবি মালিক পক্ষের লোকজনের কাছে দিতে বলেন। সভাপতি ও সম্পাদকের অনুমতি ছাড়া চাবি দিতে অস্বীকৃতি জানালে মালিক পক্ষ অফিসের তালা ভাঙার চেষ্টা করে। পরে মালিক পক্ষের সাইফুল ইসলামকে চাবি দিলে তার সঙ্গে থাকা আরও কয়েকজন অফিসের মালামাল বাইরে বের করে অফিস তালা মেরে দেন। বিএনপির কার্যালয় ভবনটি কিবরিয়ার নামে চুক্তি করা ছিল। এই ভবনের মালিক কিবরিয়ার বড় ভাইয়ের শশুর।

নেতাকর্মীরা জানান, এই জেলা কার্যালয়টি মূলত ঝালকাঠি-২ আসনের মনোনয়ন প্রত্যাশী জেলা বিএনপির সহসভাপতি মিঞা আহমেদ কিবরিয়ার উদ্যোগেই কয়েক বছর আগে তার এক আত্মীয়র কাছ থেকে ভাড়া নেওয়া হয়েছিল। এতদিন কিবরিয়াই এই ভবনের ভাড়া পরিশোধ করেছেন। দলীয় নেতাকর্মীদের ধারণা এবার মনোনয়ন না পেয়ে কিবরিয়া ক্ষুদ্ধ হয়ে অফিস ছেড়ে দিয়েছেন।

জেলা বিএনপি সভাপতি মোস্তফা কামাল বলেন, ‘আমার কাছে কিবরিয়া সাহেব ফোন করে বলেছেন, আমি অফিস ছেড়ে দিয়েছি। মালিক পক্ষকে ভবন বুঝিয়ে দিতে হবে। এ সময় আমি কিবরিয়াকে বলি, আমাদের সাধারণ সম্পাদক যেহেতু জেলে রয়েছেন, তিনি বের হলে এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিলে ভালো হবে। কিন্তু এরপরও শুনি অফিসের মালামাল বের করে তালা মেরে দিয়েছে। আমরা অফিসের মামলার আমরা বুঝে রাখিনি।’

এ বিষয়ে মিঞা আহমেদ কিবরিয়া বলেন, ‘আমার আত্মীয়ের কাছ থেকে এই অফিসটি আমি ভাড়া নিয়েছিলাম। এখন পারিবারিক সমস্যার কারণে অফিসটি ছেড়ে দিতে হয়েছে। অফিসের মালামাল আমার হেফাজতে রয়েছে।’ ক্ষোভ থেকে অফিস ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগ তিনি অস্বীকার করেন।