মুন্সীগঞ্জে ট্রলারডুবি: ২০ শ্রমিক এখনও নিখোঁজ

নিখোঁজদের সন্ধানে বিআইডব্লিউটিএ’র উদ্ধারকারী জাহাজ অগ্নিশাসক মুন্সীগঞ্জের মেঘনা নদীতে মাটি বোঝাই ট্রলারডুবির ঘটনায় ২০ শ্রমিক এখনও নিখোঁজ রয়েছেন। মঙ্গলবার ভোর ৪টার দিকে একটি মালবাহী জাহাজের ধাক্কায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। এ সময় ট্রলারের ১৪ শ্রমিক সাঁতরে তীরে উঠতে সক্ষম হন।

দুই দিন অতিবাহিত হলেও এখন পর্যন্ত শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি ডুবে যাওয়া ট্রলারটিকে। এদিকে বুধবার সন্ধ্যা ৬টার পরে উদ্ধার কার্যক্রম বন্ধ রাখা হয়েছে। আগামীকাল সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে আবার উদ্ধার কার্যক্রম চলবে বলে জানায় স্থানীয় প্রশাসন।

ডুবে যাওয়া ট্রলার ও নিখোঁজ শ্রমিকদের সন্ধানে ইতোমধ্যে মুন্সীগঞ্জ সদরের চরঝাপটা ও গজারিয়া উপজেলার কালীপুরা গ্রাম সংলগ্ন মেঘনা নদীতে বিআইডব্লিউটিএ, নৌ-পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও কোস্টগার্ড উদ্ধার তৎপরতা চালিয়েছে। উদ্ধার তৎপরতায় যুক্ত রয়েছে বিআইডব্লিউটিএ’র উদ্ধারকারী জাহাজ অগ্নিশাসক।

গজারিয়া নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মিজানুর রহমান বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘বেঁচে যাওয়া শ্রমিকদের মধ্যে দুজনের সঙ্গে আমার দেখা হয়েছে। তাদের কথা অনুযায়ী মেঘনা নদীর বিভিন্ন স্থানে উদ্ধার তৎপরতার কাজ চলছে। এখন পর্যন্ত নিখোঁজ শ্রমিকদের খোঁজ মেলেনি।’

ডুবে যাওয়া ট্রলারের নিখোঁজ ২০ শ্রমিকের মধ্যে ১৮ জনের পরিচয় জানা গেছে। তারা হচ্ছেন– পাবনার ভাঙ্গুরিয়া উপজেলার খানমরিচ ইউনিয়নের মুণ্ডুমালা গ্রামের গোলাই প্রামাণিকের ছেলে সোলেমান হোসেন, জব্বার ফকিরের ছেলে আলিফ হোসেন ও মোস্তফা ফকির, গোলবার হোসেনের ছেলে নাজমুল হোসেন, আবদুল মজিদের ছেলে জাহিদ হোসেন, নুর ইসলামের ছেলে মানিক হোসেন, সায়দার আলীর ছেলে তুহিন হোসেন, আলতাফ হোসেনের ছেলে মো. নাজমুল, লয়ান ফকিরের ছেলে রফিকুল ইসলাম, দাসমরিচ গ্রামের মোশারফ হোসেনের ছেলে ওমর আলী ও মান্নাফ আলী, তোজিম মোল্লার ছেলে মোশারফ হোসেন, আয়ান প্রামানিকের ছেলে ইসমাইল হোসেন, সমাজ আলীর ছেলে রুহুল আমিন, মাদারবাড়িয়া গ্রামের আজগর আলীর ছেলে আজাদ হোসেন, চণ্ডিপুর গ্রামের আমির খান ও আবদুল লতিফের ছেলে হাসান আলী, সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলার গজাইল গ্রামের তোফাজ্জল হোসেনের ছেলে রহমত আলী।