অনুপ্রবেশের ঘটনায় বিএসএফের দুঃখ প্রকাশ

পতাকা বৈঠকে অংশ নেওয়া বিজিবি-বিএসএফ সদস্যরালালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার বুড়িমারী স্থলবন্দর সীমান্তে গ্রামবাসীর ধাওয়া খেয়ে অস্ত্র ফেলে পালানোর ঘটনায় বিজিবি-বিএসএফের ব্যাটালিয়ন পর্যায়ে পতাকা বৈঠক হয়েছে। উভয় পক্ষের আলোচনা শেষে বিএসএফের ফেলে যাওয়া একটি শর্টগান, শর্টগানের একটি তাজা গুলি ও একটি ওয়াকিটকি বিএসএফকে ফেরত দেয় বিজিবি।   

শনিবার (১৯ জানুয়ারি ) দুপুর ১টা ১৫ থেকে ১টা ৪৫ মিনিট পর্যন্ত এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।  বৈঠকে বিজিবির ৪ সদস্যের নেতৃত্ব দেন রংপুর-৬১ বিজিবি ব্যাটালিয়নের পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল শরিফুল ইসলাম ও ভারতীয় কোচবিহার-১৪৮ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল বানারম্বর সাহু।

পতাকা বৈঠক শেষে রংপুর-৬১ বিজিবি ব্যাটালিয়নের পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল শরিফুল ইসলাম বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘শান্তিপূর্ণ পরিবেশে বুড়িমারী জিরো পয়েন্টে বিএসএফের চেক পোস্টে উভয় পক্ষের মধ্যে এ বৈঠক হয়। বৈঠকে অবৈধভাবে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের জন্য দুঃখ প্রকাশ এবং অনাকাঙ্ক্ষিত এ ধরনের ঘটনা আর ঘটবে না বলে অঙ্গীকার করেছে বিএসএফ।’

প্রসঙ্গত, শুক্রবার (১৮ জানুয়ারি) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে মুংলিবাড়ী সীমান্তের কয়েকজন গরু চোরাকারবারী ভারতীয় সীমান্ত অতিক্রম করার চেষ্টা করে। এ সময় ভারতীয় কোচবিহার-১৪৮ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের চ্যাংরাবান্ধা কোম্পানি সদরের টহলরত দুজন বিএসএফ সদস্য চোরকারবারীদের ধাওয়া করতে করতে বাংলাদেশ সীমান্তে অবৈধভাবে  অনুপ্রবেশ করে। তারা স্থানীয় মুংলীবাড়ী এলাকার বাসিন্দা মৃত. নইমুদ্দিন মিয়ার ছেলে আজিমুদ্দিন ওরফে ভুট্টুর (৪৫) বাড়িতে হামলার চেষ্টা করে। পরে স্থানীয় লোকজন ধাওয়া করলে একটি শর্টগান ও ওয়াকিটকি ফেলে পালিয়ে যায় বিএসএফ সদস্যরা। এ ঘটনার কড়া প্রতিবাদ জানায় বিজিবি। পরে শনিবার দুপুরে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।