ইয়াবা কারবারিদের মামলার কপি যাচ্ছে দুই মন্ত্রণালয়ে

ইয়াবা কারবারিদের আত্মসমর্পণের দিনের ছবি

কক্সবাজারের টেকনাফে আত্মসমর্পণকারী ১০২ ইয়াবা কারবারির মামলার কাগজপত্র দুই মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হচ্ছে। মামলার কপি প্রথমে পাঠানো হবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে, তারপর আইন মন্ত্রাণালয়ে। নথি যাচাই-বাছাই করে আইন মন্ত্রণালয় থেকে পরবর্তী সিদ্ধান্ত দেওয়া হবে। কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. ইকবাল হোসেন এসব তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি আরও জানান, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মো. আসাদুজ্জামান খান কামালের বিশেষ সুপারিশে মামলার ফাইল তৈরি করে মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হচ্ছে।

নতুন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মৃত্যুদণ্ডের বিধান রয়েছে জানিয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. ইকবাল হোসেন আরও বলেন, ‘ইয়াবা কারবারিদের বিরুদ্ধে করা পুরনো মামলাগুলো যথানিয়মে চলবে। নতুন করে আমরা যে দুটি মামলা দিয়েছি তা নতুন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে। সেখানে মৃত্যুদণ্ডের বিধান রয়েছে। তাই আত্মসমর্পণকারীদের মামলাগুলোর নথি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে। সেখান থেকে আইন মন্ত্রণালয়ে যাবে। এরপর আইন মন্ত্রণালয় সিদ্ধান্ত দিতে পারে।’

আত্মসমর্পণকারী ইয়াবা কারবারিদের সাজার ব্যাপারে জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মো. আয়াছুর রহমান বলেন, ‘নতুন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মৃত্যুদণ্ড ও যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের বিধান রয়েছে। সেই হিসাবে এসব ইয়াবা কারবারির জামিন পেতে সময়ের দরকার হবে। যদিও সরকারের বিশেষ সুপারিশে সাজার বিষয়টি শিথিল হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে মামলার চার্জশিট না হওয়া পর্যন্ত কিছু বোঝা যাচ্ছে না।’

তবে কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের আইনজীবী ও দুর্নীতি দমন কমিশনের পিপি অ্যাডভোকেট আবদুর রহিম বলেন, ‘যেসব মামলায় ইয়াবা কারবারিদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত, সেখানে জামিন পাওয়া না পাওয়ার কোনও বিষয় আসছে না। তবে কিছুদিন কারাভোগ করার পর তারা জেল থেকে বের হলেও তাদের হাজার কোটি টাকার সম্পদ বাজেয়াপ্ত করা যায়।’

প্রসঙ্গত, ১৬ ফেব্রুয়ারি দুপুর ১২টার দিকে টেকনাফ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠের মঞ্চে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের কাছে আত্মসমর্পণ করেন ১০২ জন ইয়াবা কারবারি। এসময় ৩ লাখ ৫০ হাজার ইয়াবা ও ৩০টি দেশীয় পিস্তল জমা দেয় তারা। তাদের বিরুদ্ধে দুটি মামলা হয়েছে- একটা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে, অন্যটা অবৈধ অস্ত্র আইনে।

একই দিন সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে তাদের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হলে বিচারক কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।