জিয়ার নাম মুছে দিয়ে আ.লীগ মুক্তিযুদ্ধকে অপমান করেছে: চট্টগ্রাম বিএনপি

বিএনপিজিয়া স্মৃতি যাদুঘরের নামফলক থেকে জিয়াউর রহমানের নাম মুছে দিয়ে আওয়ামী লীগ গোটা মুক্তিযুদ্ধকে অপমান করেছে বলে অভিযোগ করেছে চট্টগ্রাম বিএনপি। মঙ্গলবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে নগর বিএনপির কার্যালয় নাসিমন ভবনে সংবাদ সম্মেলন করে স্থানীয় বিএনপি নেতারা এ অভিযোগ করেন।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন নগর বিএনপির সভাপতি ডা. শাহাদাৎ হোসেন। তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ নেতারা মুখে শুধু মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কথা  বলে। কিন্তু আসলে তারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাস করে না। সেজন্য একজন সেক্টর কমান্ডার ও মুক্তিযোদ্ধার নামে প্রতিষ্ঠিত জিয়া যাদুঘরের নাম পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত ও নামফলক মুছে ফেলার মতো ধৃষ্টতা স্থাপন করে গোটা মুক্তিযুদ্ধকে অপমান করেছে। তাদের এই উচ্ছৃঙ্খল কর্মকাণ্ড বাংলাদেশের রাজনীতিকে বিপজ্জনক যুগে নিয়ে যাচ্ছে। 

তিনি আরও বলেন, ‘এই সার্কিট হাউজে জিয়াউর রহমান আততায়ীর হাতে নিহত হয়েছিলেন। সার্কিট হাউজের সঙ্গে তার রক্ত মিশে আছে। নামফলক থেকে জিয়ার নাম মুছে ফেললেও বাংলাদেশের মানুষের রক্ত থেকে তার নাম মুছে ফেলা যাবে না। চট্টগ্রামের জনগণ সরকারের এ হঠকারী সিদ্ধান্ত কখনোই মেনে নেবে না।’

তিনি অবিলম্বে জিয়া স্মৃতি যাদুঘরের নামফলকে আবার জিয়াউর রহমানের নাম স্থাপন করে নাম পরিবর্তনের সরকারি সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের আহ্বান জানান।

শাহাদাৎ হোসেন বলেন, ‘জিয়া যাদুঘর সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের অধীনে থাকা একটি প্রতিষ্ঠান। যেসব দুষ্কৃতকারী ন্যাক্কারজনক এ ঘটনা ঘটিয়েছে আমরা তাদের গ্রেফতার করার দাবি জানাচ্ছি। কারা ঘটনাটি ঘটিয়েছে সেটি সিসিটিভি ফুটেজে আছে। সিসিটিভি ফুটেজ দেখে তাদের গ্রেফতার করতে হবে। অন্যথায় আমরা নিয়মতান্ত্রিক লাগাতার আন্দোলনে যাবো। আগামী ২৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে যাদুঘরের নামফলকে জিয়ার নাম পুণঃস্থাপন না করা হলে ২৬ ফেব্রুয়ারি জেলা প্রশাসক ও পুলিশ কমিশনারকে স্মারকলিপি দেবো। পরদিন ২৭ ফেব্রুয়ারি একই দাবিতে মানববন্ধন করবো।’

সংবাদ সম্মেলনে নগর বিএনপি সিনিয়র সহসভাপতি আবু সুফিয়ান, সাধারণ সম্পাদক আবু বক্কর সিদ্দিক, কল্যাণ পার্টির সভাপতি মেজর জেনারেল (অব) সৈয়দ মুহাম্মদ ইব্রাহিমসহ নগর বিএনপির নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

গত ১২ ফেব্রুয়ারি দুপুরে জিয়া স্মৃতি জাদুঘরের নামফলকে জিয়াউর রহমানের নাম মুছে দেয় ছাত্র ফোরাম নামে একটি সংগঠন। সংগঠনের সদস্যরা নগরীর কাজির দেউরিতে ওই যাদুঘরের সামনে মানববন্ধন করার পর নামফলক থেকে জিয়াউর রহমানের নাম মুছে দেয়।