সকালে খাগড়াছড়ি শহরের বিভিন্ন স্থানে হরতালের সমর্থনে টায়ার জ্বালিয়ে পিকেটিং করে পার্বত্য বাঙালি ছাত্র পরিষদের নেতাকর্মীরা। ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা নৈশ কোচগুলো খাগড়াছড়ি শহরে ঢুকলেও খাগড়াছড়ি থেকে চট্রগ্রাম ও ঢাকার উদ্দেশে কোনও যানবাহন ছেড়ে যায়নি। সব ধরনের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ আছে। জেলার সব গুরুত্বপূর্ণ স্থানে পুলিশ মোতায়েন আছে। কোথাও কোনও অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। সরকারি যানবাহন, নিরাপত্তা বাহিনীর গাড়ি, সাংবাদিকদের গাড়ি, অ্যাম্বুলেন্স ও খাবারের গাড়ি হরতালের আওতামুক্ত রয়েছে।
মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) সন্ধ্যায় সংগঠনটির খাগড়াছড়ি জেলা শাখার ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মো. রবিউল হোসেন স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে হরতালের ঘোষণা দেওয়া হয়। উল্লেখ্য, গত সোমবার (১৮ মার্চ) রাঙামাটি জেলার বাঘাইছড়িতে ভোট গ্রহণ শেষে নির্বাচনি সরঞ্জাম নিয়ে ফেরার পথে বাঘাইছড়ির নয় কিলোমিটার এলাকায় জেএসএস এবং ইউপিডিএফ মূল দলের সন্ত্রাসীদের হামলায় নিহত হন সাতজন। সন্ত্রাসীদের দ্রুত গ্রেফতার ও শাস্তি দাবির পাশাপাশি মহিলা এমপি বাসন্তী চাকমাকে তার পদ থেকে অপসারণের দাবি জানানো হয়।