নদীতে গোসল করতে গিয়ে ডুবে শিক্ষার্থীর মৃত্যু

মৌলভীবাজারমৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় শমশেরনগর কুলাউড়া সড়কের কটারকোনা নামক স্থানে বন্ধুদের সঙ্গে বেড়াতে গিয়েছিলেন এসএসসি ফলপ্রত্যাশী আব্দুছ ছালাম (১৭)। শুক্রবার (২২ মার্চ) দুপুরের দিকে কুলাউড়া উপজেলার হাজীপুরের কটারকোনা ব্রিজ সংলগ্ন মনু নদীতে গোসল করতে গিয়ে ডুবে মৃত্যু হয় তার।

আব্দুছ ছালাম নরসিংদী জেলার শিবপুর  থানার আছকিরতলা গ্রামের রফিকুল ইসলামের ছেলে।

স্থানীয় ও তার সঙ্গে বেড়াতে আসা অন্য সহপাঠীরা জানান, নিহত আব্দুছ ছালাম এবার শিবপুর উপজেলার চৈতন্যাপুর উচ্চ বিদ্যালয় থেকে সদ্য সমাপ্ত এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে।

বৃহস্পতিবার রাতে মাধবকুণ্ড জলপ্রপাতসহ মৌলভীবাজারের বিভিন্ন দর্শনীয় স্থান পরিদর্শনের জন্য একটি প্রাইভেট গাড়িযোগে ছালাম, তার বন্ধু নওশাদ, কাওসার এবং তাদের প্রাইভেট কোচিং শিক্ষকসহ ১৪ জন সহপাঠী যাত্রা করে।

শুক্রবার সকালের দিকে মাধবকুণ্ড জলপ্রপাত দেখে কমলগঞ্জের  মাধবপুর লেকের উদ্দেশ্যে যাওয়ার পথে কুলাউড়া-শমসেরনগর রোডের কটারকোনাস্থ মনু ব্রিজে পৌঁছায় তারা। সেখানে তারা নদীতে গোসল করার জন্য গাড়ি থেকে নেমে যায়। পরে সব বন্ধু ও তাদের সঙ্গে থাকা প্রাইভেট কোচিংয়ের শিক্ষক সুলেমান ভুইঁয়া মিলে মনু নদীতে গোসল করতে নামেন। এক পর্যায়ে ছালাম পানিতে ডুব দেয়। পরে তাকে দেখতে না পেয়ে সহপাঠীরা খোঁজাখুঁজি ও চিৎকার করতে থাকে। তাদের চিৎকার শুনে স্থানীয়রা এসে তাকে খুঁজতে থাকে এবং না পেয়ে কুলাউড়া ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সকে খবর দেয়।

খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের লোকজন ছালামকে নদী থেকে উদ্ধার করে কুলাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন। হাসপাতালে নিয়ে আসার পর জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. আবু বকর নাসের মো. রাশু ছালামকে মৃত ঘোষণা করেন।

কুলাউড়া থানার ওসি (তদন্ত) সঞ্জয় চক্রবর্ত্তী বলেন, পানিতে ডুবে শিক্ষার্থীর মৃত্যুর ঘটনায় কুলাউড়া থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। লাশ ময়নাতদন্ত করা হবে কি না, সে বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।