এ বছরই বুড়িমারী-ঢাকা রুটে চালু হবে তিনবিঘা করিডোর এক্সপ্রেস: রেলমন্ত্রী

লালমনিরহটে রেলমন্ত্রীএ বছরই লালমনিরহাটের বুড়িমারী স্থলবন্দর থেকে ঢাকা কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রতিশ্রুত তিনবিঘা করিডোর এক্সপ্রেস আন্তঃনগর ট্রেন চালু করা হবে বলে জানিয়েছেন রেলপথ মন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন। তিনি বলেছেন, ‘বৃটিশামলের রেললাইনগুলো ঢেলে সাজানোর পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয়েছে। রেলের অব্যবস্থাপনা রোধ করে পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের সব লাইন পর্যায়ক্রমে ডুয়েলগেজ করার পরিকল্পনা রয়েছে। আগামী জুলাই মাসে নতুন কোচ ও লোকোমোটিভ পাওয়া যাবে। এরপর সংকট কেটে যাবে। ১৯৬৫ সালের আগে পর্যন্ত ভারতের সঙ্গে যেসব রুটে ট্রেন যোগাযোগ চালু ছিল, সেসব রুটে আবারও ট্রেন চালু করার সম্ভাব্যতা যাচাই করে দেখা হচ্ছে। এর অংশ হিসেবে বুড়িমারী-লালমনিরহাট-ঢাকা-ভারত পণ্যবাহী ও যাত্রীবাহী ট্রেন চালুর সম্ভাব্যতা যাচাই করে দেখা হচ্ছে।’

শুক্রবার দুপুরে লালমনিরহাটের বুড়িমারী স্থলবন্দর রেলওয়ে স্টেশনে এক মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন মন্ত্রী। বুড়িমারী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক তাহাজুল ইসলাম মিঠুর সভাপতিত্বে এই মতবিনিয় সভা হয়। রেলমন্ত্রী সেখানে প্রধান অতিথি হিসবে বক্তব্য রাখেন। আরও বক্তব্য রাখেন লালমনিরহাট জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাবেক প্রতিমন্ত্রী মোতাহার হোসেন এমপি, লালমনিরহাট জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মতিয়ার রহমান প্রমুখ। পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের জেনারেল ম্যানেজার খন্দকার শহিদুল ইসলাম ও লালমনিরহাট বিভাগীয় রেলওয়ে ম্যানেজার শফিকুর রহমানসহ ঊর্দ্ধতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।লালমনিরহটে রেলমন্ত্রী

রেলমন্ত্রী বলেন, ‘‌‌বুড়িমারী স্থলবন্দরের ব্যবসায়ীরা রেলপথ ব্যবহার না করায় ওয়াগনগুলো ব্যবহার করা হচ্ছে না। তারা চাইলে ওয়াগনগুলো ব্যবহার করা হবে। জাইকার সঙ্গে চুক্তি হয়েছে, শিগগরিই বঙ্গবন্ধু সেতুর পাশে আরও একটি ডুয়েলগেজ রেল সেতু নির্মাণ কাজ শুরু করা হবে। এই সেতুটি হয়ে গেলে পণ্য পরিবহনে এবং যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচলে আর কোনও ঝুঁকি থাকবে না।’

বুড়িমারী স্থলবন্দরের গুরুত্বের কথা উল্লেখ করে মন্ত্রী আরও বলেন, ‘বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল ও ভুটানের ব্যবসা বাণিজ্যে বুড়িমারী স্থলবন্দরটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাই বুড়িমারী-লালমনিরহাট-যমুনা সেতুর সংযোগ পর্যন্ত ব্রডগেজ রেললাইন নির্মাণে কয়েকটি প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। এসব প্রকল্পের কাজ শেষ হলেই বুড়িমারী-চ্যাংরাবান্ধা রেলপথ চালু করা হবে। ওপাশে ভারতীয় ব্রডগেজ রেললাইন নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে। এপাশে বুড়িমারী পর্যন্ত ডুয়েলগেজ রেললাইন নির্মাণ করা হয়নি। যত দ্রুত সম্ভব ডুয়েলগেজ রেললাইন নির্মাণ করে ভারতের সঙ্গে আলোচনা করে রেল যোগাযোগ স্থাপন করা হবে। ইতোমধ্যে কয়েকটি স্থলবন্দরের সঙ্গে ভারতের রেলপথ যোগাযোগ চালু করা হয়েছে।’

দুই দিনের সফরে রেলমন্ত্রী  লালমনিরহাট সার্কিট হাউজে রাত্রিযাপন করেন। আজ শনিবার (২৩ মার্চ)  দ্বিতীয় তিস্তা রেলসেতু নির্মাণ সমীক্ষা পরিদর্শনে যাবেন তিনি। আজই সৈয়দপুর বিমানবন্দর থেকে ঢাকা ফিরবেন তিনি।