রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ২৭ যুগলের বিয়ে

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ২৭ যুগলের বিয়ে পড়ানো হয়
কক্সবাজারের উখিয়ায় স্থাপিত ক্যাম্পে ২৭ রোহিঙ্গা যুগলের বিয়ে হয়েছে। সোমবার (২৫ মার্চ) উখিয়ার বার্মাপাড়ার থ্যায়ংখালী রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ইনচার্জের হলরুমে এ গণবিয়ের আয়োজন করা হয়। এতে সার্বিক সহযোগিতা করে ক্যাম্পের সাইট ম্যানেজমেন্ট আন্তর্জাতিক এনজিও সংস্থা ‘কেয়ার বাংলাদেশ’। ক্যাম্পের প্রধান ইমাম নুরুল ইসলাম এ গণবিয়ে পড়ান।

গণবিয়ের এ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার (অতিরিক্ত সচিব) মোহাম্মদ আবুল কালাম, এনজিও সংস্থা কেয়ার বাংলাদেশ-এর সাইট ম্যানেজমেন্ট ক্যাম্প ম্যানেজার ডক্টর সোহেল মাহমুদ প্রমুখ।

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ২৭ যুগলের বিয়ে অনুষ্ঠিত হয়যুগলদের উদ্দেশে শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার (অতিরিক্ত সচিব) মোহাম্মদ আবুল কালাম বলেন, ‘ইসলাম শান্তির ধর্ম, তাই ব্লকে কোনও ধরনের অনিয়ম কিংবা বিশৃঙ্খলা করা যাবে না। তোমাদের সবার সুখি ও সুন্দর জীবন কামনা করছি।’ পরে তিনি নবদম্পতিদের সঙ্গে কথা বলেন। সার্বিক সহযোগিতা দেয়ায় কেয়ার বাংলাদেশ সাইট ম্যানেজমেন্টকে ধন্যবাদ জানান তিনি।

বর আবুল হোসেন বলেন, ‘আমরা খুবই আনন্দিত সুন্দর একটি পরিবেশে বিয়েতে বসতে পেরে। সেই সঙ্গে ধন্যবাদ জানাই আমাদের ক্যাম্প সিআইসি স্যার ও কেয়ার বাংলাদেশ সাইট ম্যানেজমেন্টকে, যাদের সহযোগিতায় এই গণবিয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে।’

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ২৭ যুগলের বিয়েগণবিয়ে শেষে সবাইকে মিষ্টিমুখ করানো হয়। এ সময় এনজিও সংস্থা কেয়ার বাংলাদেশ-এর সাইট ম্যানেজমেন্ট ক্যাম্প ম্যানেজার ড. সোহেল মাহমুদ, টেকনিক্যাল কো-অর্ডিনেটর ও অপারেশন মিনহাজ উদ্দিন আহমেদ, উত্তম রোজারিও, মাহমুদ হাসান, জোন কো-অর্ডিনেটর আবিদ হাসান, মোহসিনা বেগম, মো. ইব্রাহিম, রাশেদুল করিম, মোহাইমিনুল মুন্না, লক্ষ্মীরানী, যুগল পরিবারের সদস্য ও ক্যাম্প ব্লকের সকল মাঝি উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট মিয়ানমার সীমান্তে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর বর্বর হামলা শুরু করে দেশটির সেনাবাহিনী। হত্যা, অত্যাচার, ধর্ষণ, বাড়িঘর পুড়িয়ে দেওয়ার মতো ঘটনার কারণে সাত লাখ রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী বাংলাদেশের বিভিন্ন ক্যাম্পে আশ্রয় নেয়। এর আগে চার লাখের মতো রোহিঙ্গা কক্সবাজারে আশ্রয় নিয়েছে। বর্তমানে সব মিলিয়ে ১১ লাখের বেশি রোহিঙ্গা উখিয়া-টেকনাফে অবস্থান করছেন।