বইয়ের দোকান আহমেদ বুক ডিপোর মালিক লুৎফর রহমান জানান, রাত ৯টার দিকে দোকান বন্ধ করে বাড়ি যান তিনি। রাত সাড়ে ১০টার দিকে আগুন লাগার খবর পান। খবর শুনে ঘটনাস্থলে এসে ফায়ার সার্ভিসের লোকজনকে আগুন নেভানোর কাজ করতে দেখেন তিনি। দোকানে থাকা বই, খাতাসহ অন্যান্য জিনিসপত্র পুড়ে গেছে। এতে ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে জানান এই ব্যবসায়ী। পাশের দোকান প্রগতি স্টিল ট্রাংকের দোকানের মালিক বলাই চন্দ্র দাবি করেন, আগুনে তার দোকানের প্রায় ৫০ হাজার টাকার ক্ষতি হয়েছে।
যশোর ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সিনিয়র স্টেশন অফিসার ফরহাদ হোসেন বলেন, তিনটি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিটের কারণে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত। তবে বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা মালিক সমিতির যশোর শাখার সাধারণ সম্পাদক মহসীন সরকার বলেন, বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে নয়, পরিকল্পিতভাবে কেউ আগুন দিয়েছে। আমরা এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ করবো।
প্রসঙ্গত, শহরের দড়াটানা থেকে হজরত গরীব শাহ (রা.) মাজার পর্যন্ত সরকারি জায়গায় বই, স্টিল ট্রাংক, লেপ তোষকসহ বিভিন্ন দোকান রয়েছে। সম্প্রতি এসব দোকান ছেড়ে দিতে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নোটিশ দেওয়া হয়েছে।