সিন্ডিকেট সভা সূত্র থেকে জানা গেছে, ২০১৮ সালের মাঝামাঝি সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকরি প্রত্যাশী এক তরুণীকে ফেসবুকে যৌন আবেদনময়ী অঙ্গভঙ্গি করেন মনিরুল ইসলাম। এমনকি ওই তরুণীকে চাকরি পাইয়ে দিতে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়ে বিভিন্ন সময় বাসায় ডাকারও অভিযোগ রয়েছে রেজিস্ট্রারের বিরুদ্ধে। এ ঘটনা নিয়ে পরবর্তীতে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়। এমনকি তার যৌন আবেদনময়ী অঙ্গভঙ্গির ভিডিও ফেসবুকে ভাইরাল হয়। ওই ভিডিও প্রমাণসহ রেজিস্ট্রার মনিরুলের বিচারের দাবিতে ভিসির কাছে লিখিত আবেদন করে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি।
অভিযোগের প্রেক্ষিতে ভিসি সিন্ডিকেটের ৩ সদস্যের সমন্বয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করেন। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে ঘটনার সত্যতা পাওয়ার পর সিন্ডিকেট সভায় রেজিস্ট্রার মনিরুল ইসলামকে নৈতিক স্খলনের দায় নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে চাকরি ছেড়ে দেওয়ার জন্য বলা হয়। এমনকি মনিরুল ইসলামের পরিবর্তে রেজিস্ট্রারের দায়িত্ব দেওয়া হয বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান ও প্রকৌশল অনুষদের ডিন ড. মো. হাসিনুর রহমানকে। কিন্তু মনিরুল চাকরি না ছাড়ায় গত মঙ্গলবার রাতে ঢাকার লিয়াজো অফিসে সিন্ডিকেট সভায় মনিরুলকে চাকরিচ্যুত করা হয়।