ফতুল্লায় নিখোঁজের ১০ দিন পর ব্যবসায়ীর লাশ উদ্ধার

নারায়ণগঞ্জ

নারায়গঞ্জের ফতুল্লায় নিখোঁজের ১০ দিন পর মাটি খুঁড়ে ঝুট ব্যবসায়ী কামরুজ্জামান চৌধুরী ওরফে সেলিম চৌধুরীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। বুধবার (১০ এপ্রিল) দুপুরে সদর উপজেলার ফতুল্লা থানার ভোলাইল এলাকার ওয়ালটনের শো-রুমের নিচ থেকে তার বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

পুলিশের দাবি, এটি একটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। এই ঘটনায় জড়িত অভিযোগে পুলিশ দুই জনকে আটক করেছে।

ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশের ওসি আসলাম হোসেন জানান, লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

তিনি আরও জানান, নিখোঁজের পর পরিবারের পক্ষ থেকে একটি জিডি করা হয়েছিল। সেই জিডির তদন্ত করতে গিয়ে ফয়সাল নামের একজনকে সন্দেহ হওয়ায় আটক করা হয়। পরে তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী অভিযান চালিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে মাটি খুঁড়ে সেলিমের বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এই ঘটনায় মোহাম্মদ আলী নামে আরও একজনকে আটক করা হয়েছে। তিনি সেলিমের ব্যবসায়িক অংশীদার ছিলেন।

ওসি আসলাম হোসেন জানান, নিখোঁজের দিন সেলিম চৌধুরী ঝুটের গুদামে গিয়ে তার পার্টনারদের কাছে পাওনা টাকা ফেরত চাইলে বাক বিতণ্ডা হয়। এক পর্যায়ে কয়েকজন মিলে মারধর করলে সেলিম ঘটনাস্থলেই নিহত হন। পরে লাশ বস্তায় ভরে সেখানেই মাটি খুঁড়ে গুম করা হয়।

জিডি সূত্রে জানা যায়, ৩১ মার্চ সকালে বাসা থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হন সেলিম চৌধুরী। এদিন বেলা ১১টার দিকে সেলিম চৌধুরীর সঙ্গে তার স্ত্রীর শেষ কথা হয়। তখন সেলিম জানিয়েছিলেন, তিনি পঞ্চবটির মোড়ে ইস্টার্ন ব্যাংকে রয়েছেন। এরপর একই দিন দুপুর ২টার দিকে খাবারের সময় ফোন করা হলে সেলিম চৌধুরীর মুঠোফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।

এদিকে এই ঘটনার ৬ দিন পর ৬ এপ্রিল সেলিম চৌধুরী নিখোঁজ রয়েছেন দাবি করে তার স্ত্রী রেখা আক্তার বাদী হয়ে ফতুল্লা মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছিলেন।