লোক সংস্কৃতিতে অবদানের জন্যে যশোরে তিনজনকে সম্মাননা

যশোরে তিন গুণী ব্যক্তিকে সংবর্ধনা

বাংলা লোকসংস্কৃতিতে অবদানের জন্যে যশোরের তিনজন গুণীজনকে সম্মাননা জানানো হয়েছে। শনিবার (১৩ এপ্রিল) বিকেলে যশোর শহরের প্রাণকেন্দ্র দড়াটানা ভৈরব চত্বরে প্রথম আলো বন্ধুসভার বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে তাদেরকে এ সম্মাননা জানানো হয়।

সম্মাননাপ্রাপ্ত গুণীজনরা হলেন, মৃৎশিল্পী দেবেন্দ্রনাথ পাল, লোহার যন্ত্রপাতি তৈরির কারিগর (কর্মকার) মন্টু কর্মকার ও খেজুর গাছ থেকে রস-গুড়-পাটালির উৎপাদক (গাছি) মো. মহিউদ্দীন। তিনজনেরই বাড়ি যশোর সদর উপজেলায়।

যশোরের জেলা প্রশাসক মো. আবদুল আওয়াল তিনজনকে সম্মাননা স্মারক উত্তরীয় পরিয়ে দেন।

এ সময় জেলা প্রশাসক আবদুল আওয়াল বলেন, ‘প্রত্যেকটি পেশার মানুষকে সম্মান জানাতে হবে। তিন পেশার তিনজনকে সম্মাননা জানিয়ে আমরা তাদের বড় করার চেয়ে নিজেরা বেশি বড় হয়েছি। ব্যতিক্রমী এই আয়োজনের জন্যে আয়োজকদের স্বাগত জানাই।’

সম্মাননাপ্রাপ্ত তিনজনই তাদের অনুভূতির কথা জানাতে গিয়ে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন। তারা প্রত্যেকে ৪০ থেকে ৫০ বছর ধরে নিজ নিজ পেশায় টিকে আছেন বলে জানান। বাবা-দাদাদের পেশা তারা ছাড়তে চান না বলেও জানান।

এ সময় মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন যশোর সরকারি মহিলা কলেজের বাংলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মোফাজ্জেল হোসেন, মণিরামপুর সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হায়দার আলী, বন্ধুসভার সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেন, সাধারণ সম্পাদক আনন্দ দাস, শাহরিয়ার পারভেজ কৌশিক প্রমুখ।

অনুষ্ঠানের শুরুতে পরিতোষ বাউল ও তার দল বাউল গান পরিবেশন করেন। এরপর শিক্ষক হায়দার আলী পাতার বাঁশি বাজিয়ে দর্শক মাতিয়ে রাখেন।

সবশেষে বাঙালির ঐতিহ্যবাহী খাবার খই-বাতাসা বিতরণ করা হয়।