আহমদিয়াদের রাষ্ট্রীয়ভাবে অমুসলিম ঘোষণা করতে হবে: শাহ আহমেদ শফী

পঞ্চগড়ে আল্লামা শাহ আহমেদ শফীহেফাজতে ইসলামের আমির আল্লামা শাহ আহমেদ শফী বলেছেন, ‘আহমদিয়াদের রাষ্ট্রীয়ভাবে অমুসলমান ঘোষণা করতে হবে। তারা মুসলমান নয়, তারা অমুসলিম। তাদের যারা অমুসলিম মনে করে না তারাও অমুসলিম। আহমদিয়ারা আমাদের শেষ নবীকে মানে না, সুতরাং তারা কাফির। যারা তাদের কাফির মানে না তারাও কাফির। আহমদিয়া ছেলেদের সঙ্গে মুসলমানদের কোনও মেয়েকে বিয়ে দেবেন না, আহমদিয়া মেয়েদেরও কোনও মুসলমান ছেলেকে দিয়ে বিয়ে করাবেন না। আহমদিয়াদের রাষ্ট্রীয়ভাবে অমুসলিম ঘোষণা করতে আমরা শেখ হাসিনা সরকারকে অনুরোধ করবো।’

মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) বিকালে পঞ্চগড় বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল ইসলাম স্টেডিয়াম মাঠে খতমে নবুওয়াত সংরক্ষণ পরিষদের সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। আল্লামা শাহ আহমদ শফীর পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন তার ছেলে আনাস মাদানী।  

শফী লিখিত বক্তব্যে বলেছেন, ‘আহমদিয়াদের মুসলমান কবরস্থানে দাফন করা যাবে না। আহমদিয়াদের কোনও প্রকার সাহায্য করবেন না। যাদের আত্মীয়-স্বজন টাকা পয়সা নিয়ে আহমদিয়া সম্প্রদায়ে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে তাদের ফিরিয়ে আনুন।’
পঞ্চগড়ে আল্লামা শাহ আহমেদ শফী

তিনি আরও বলেছেন, ‘গোলাম আহমদ কাদিয়ানি নামে এক ব্যক্তি নিজেকে নবী দাবি করেছে। সে কাফের। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে তার অনুসারী আহমদিয়াদের অমুসলিম ঘোষণা করা হয়েছে। বাংলাদেশেও ১৯৯৩ সালে হাইকোর্টের রায়ে এরা কাফের সাব্যস্ত হয়েছে। অবিলম্বে এই রায়কে কার্যকর করার দাবি জানাই।’ তিনি বাংলাদেশে আহমদিয়াদের রাষ্ট্রীয়ভাবে অমুসলিম ঘোষণা করে সংখ্যালঘু হিসেবে থাকতে দেওয়ার আহ্বান জানান।

পঞ্চগড় জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার সাদাত সম্রাটের সভাপতিত্বে সম্মেলনে ইন্টারন্যাশনাল খতমে নবুয়তের বাংলাদেশ আমির মাহমুদুল হাসান মনতাজী, কুষ্টিয়া ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের খতিব ড. আসম শোয়াইব আহমদ, বাংলাদেশ খতমে নবুয়ত সংরক্ষণ কমিটির সভাপতি আব্দুল হামিদ, আমরা ঢাকাবাসী সংগঠনের সভাপতি শামসুল হক, খতমে নবুয়ত মার্কাসের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক মুফতি শুয়াইব ইব্রাহীম, খতমে নবুয়ত আন্দোলনের বাংলাদেশের আমির বাহাউদ্দিন জাকারিয়া, ঢাকার দারুন্নাজাত কামিল মাদ্রাসার মোহাদ্দেস উসমান গণি সালেহী প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

সকাল থেকে পঞ্চগড়সহ পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন জেলা থেকে হাজারো মুসল্লি স্টেডিয়াম মাঠে এসে জড়ো হন। আল্লামা শাহ আহমেদ শফী দুপুরে স্টেডিয়াম মাঠে আসেন। পৌনে ২টার দিকে তিনি বক্তব্য দেওয়া শুরু করেন। সোয়া ২টায় তিনি বক্তব্য শেষ করেন। এরপর মোনাজাতের মাধ্যমে খতমে নবুয়তের সম্মেলন শেষ হয়। তিনি নিজে মোনাজাত পরিচালনা করেন।