মেয়র হিসেবে কর্মপরিকল্পনা সম্পর্কে ইকরামুল হক টিটু বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বপ্নের ময়মনসিংহ সিটির বাস্তবায়নে এই শহরকে পরিকল্পিত আধুনিক নগরী হিসেবে গড়ে তুলতে চাই। নবগঠিত এ সিটি করপোরেশনে নানাবিধ সমস্যা রয়েছে। গত সাড়ে পাঁচ মাস আমি সিটি করপোরেশনের প্রশাসকের দায়িত্ব পালনকালে প্রতিটি ওয়ার্ডে সরেজমিন গিয়ে কোথায় কী প্রয়োজন— সে বিষয়ে প্রাথমিকভাবে সমস্যা চিহ্নিত করে একটি উন্নয়ন পরিকল্পনা করেছি। আশা করছি, আগামী দিনে প্রধানমন্ত্রীর সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার যে স্বপ্ন, সেই ধারাবাহিকতায় সমৃদ্ধ ময়মনসিংহ সিটিকে গড়ে তুলতে আন্তরিকভাবে কাজ করে যাবো। আমি বিশ্বাস করি, এখানকার নাগরিকরা অতীতে যেভাবে আমাকে সহযোগিতা করেছেন, আগামী দিনেও তাদের সহযোগিতা নিয়ে বাকি কাজটুকু ইনশাআল্লাহ সমাধান করতে পারবো।’
নগরীর উন্নয়ন কর্মকাণ্ড কবে নাগাদ দৃশ্যমান হবে, এমন প্রশ্নে মেয়র টিটু বলেন, ‘পরিকল্পনা এবং বাস্তবায়ন দুটির মধ্যে কিছুটা সময়ের দূরত্ব থাকবেই। তবে আন্তরিকতা এবং চেষ্টা থাকলে অবশ্যই সেটা দ্রুত করা সম্ভব। সেই ব্যাপারে আমি সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো দ্রুত সময়ের মধ্যেই দৃশ্যমান উন্নয়নগুলো জনসম্মুখে তুলে ধরতে।’
নতুন দায়িত্বকে চ্যালেঞ্জ মনে করছেন কিনা, জানতে চাইলে মেয়র বলেন, ‘অতীতের যে কোনও সময়ের চেয়ে বর্তমান সরকারের সময়ে দেশ একটি ভিন্ন মাত্রায় পৌঁছেছে। আমাদের প্রধানমন্ত্রী অনেক বড় বড় চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে আজ দেশের মানুষকে নানা ধরনের সুযোগ-সুবিধা উপহার দিয়েছেন। সেই ধারাবাহিকতায় আমিও বিশ্বাস করি, সব প্রতিবন্ধকতা এবং চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে আমরাও সামনের দিকে এগিয়ে যাবো। প্রধানমন্ত্রী ময়মনসিংহের ব্যাপারে অতীতেও নানাভাবে আমাদের সহযোগিতা করেছেন। ভবিষ্যতেও তার সুযোগ্য নেতৃত্বে আমরা সামনের দিকে এগিয়ে যেতে পারবো।
মহানগরের সেবায় নতুন কোনও পরিকল্পনা আছে কিনা? এ প্রশ্নের জবাবে মেয়র বলেন, ‘আমার পূর্ব অভিজ্ঞতা দিয়ে আমি স্বপ্ন দেখি— বিভিন্ন উন্নত শহরের আদলে ময়মনসিংহ নগরীকে গড়ে তুলবো। এক্ষেত্রে কিছুটা সময় লাগবে। তবে পর্যায়ক্রমে যদি পরিকল্পনামতো কাজগুলো করতে পারি— তবে অচিরেই স্বপ্ন সত্যি হবে।’
নগরবাসীর ঘাড়ে বাড়তি কর চাপানো হবে কিনা, এ প্রসঙ্গে ইকরামুল হক টিটু বলেন, ‘সিটি করপোরেশনের বিধি অনুযায়ী, শুধু অবকাঠামোর ওপর কর নির্ধারণ করা হয়। অবকাঠামোটি কোন আঙ্গিকে এবং কীভাবে তৈরি করা হয়েছে, কী পরিমাণ অর্থ ব্যয় হয়েছে, এর ওপর নির্ভর করেই কর ধার্য করা হয়। কর আরোপের ব্যাপারে কোনও বৈষম্য করা হবে না। যার জন্য যেটা প্রযোজ্য তিনি সেই করই পরিশোধ করবেন। কারও ওপর বাড়তি কর আরোপ করা হবে না।’
সম্প্রসারিত নতুন ১২টি ওয়ার্ডে উন্নয়ন বৈষম্য কীভাবে দূর হবে প্রশ্নে মেয়র বলেন, ‘নতুন এলাকার সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে সুষম উন্নয়ন পরিকল্পনা করা হবে। পুরনো ওয়ার্ডগুলোর মতোই নতুন ওয়ার্ডগুলোর উন্নয়নে অতিরিক্ত বরাদ্দের ব্যবস্থা রেখে কাজ করা হবে।’
আরও পড়ুন- বিনাভোটে মসিকের প্রথম মেয়র আ.লীগের টিটু