খুলনার তিন প্রতিষ্ঠানকে নতুন পণ্য উৎপাদন না করার নির্দেশ

খুলনাহাইকোর্টের রায়ের আলোকে নতুন করে পণ্য উৎপাদন না করতে খুলনা অঞ্চলের তিন প্রতিষ্ঠানকে পরামর্শ দিয়েছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর। একইসঙ্গে তাদের পণ্যগুলো বাজার থেকে প্রত্যাহার করারও নির্দেশ দেওয়া হয়। পণ্য প্রত্যাহার না করা হলে রবিবার থেকে জরিমানা করা হবে বলে হুঁশিয়ার করা হয়েছে।

প্রতিষ্ঠানগুলা হচ্ছে- ফুলতলার মধুমতি সল্ট ইন্ড্রাস্ট্রিজ, দৌলতপুরের মধু প্রক্রিয়াজাতকরণ প্রতিষ্ঠান গ্রীনলেন মিল্ক প্রোডাক্ট ও হলুদের গুড়া উৎপাদনকৃত প্রতিষ্ঠান কুষ্টিয়া সান ফুড।

ভোক্তা অধিদফতর খুলনা বিভাগীয় উপ-পরিচালক এস এম নাজিমুল ইসলাম জানান, উল্লেখিত প্রতিষ্ঠানগুলোকে হাইকার্টের নির্দেশ মেনে নতুন পণ্য উৎপাদন না করতে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। তাদের এ সব পণ্য বাজার থেকে প্রত্যাহার করতে বলা হয়েছে। বিএসটিআই উল্লিখিত তিন প্রতিষ্ঠানকে দশ দিনের সময় দিয়ে কারণ দর্শাও নোটিশ দিয়েছে। নোটিশে বলা হয়েছে, অনুন্নত খাদ্য উৎপাদনের জন্য কেন তাদের লাইসেন্স বাতিল করা হবে না তার ব্যাখ্যা দিতে হবে।

এদিকে ভোক্তা অধিকারের সহকারী পরিচালক সিকদার শাহিনুল আলম জানান, অতিরিক্ত মূল্য নেওয়া, মূল্য তালিকা না থাকা, আমদানিকারকের নাম না থাকাসহ বিভিন্ন কারণে ময়লাপাতা মোড়ের গরুর মাংস বিক্রেতা শাওন মিট শপ, বাবু মিট শপ, রাজু মিট শপ, হাজি মিট শপ, চান মিয়া মিট শপ, মাছুম মিট শপ, সেইভ এন সেইফ দৌলতপুর, জননী ট্রডার্স, গল্লামারীর খান ডিপার্টমেন্টাল স্টোর, খুলনা ড্রিংকিং ওয়াটার, সেইভ এন সেইফ নিউ মার্কেট, দেশ ড্রিংকিং ওয়াটার, আয়েশা ফুডস প্রোডাক্টস, প্রান্তিক ফুড প্রোডাক্টস, গল্লামারী ঐশী মেডিকেল, স্বপা স্টোর, ঢাকা ওয়াটার ও খুলনার অভিজাত হোটেল ক্যাসল সালামকে সর্বমাট ৯২ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। পরিমাপে কম দেওয়ায় গত মাসে রপসার ফারুক ব্রিকসকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা, মূল্য তালিকা না থাকায় শান্তিধাম মোড়ের বাদশা মিয়া মেমরিয়াল ক্লিনিককে দশ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।