এই হত্যাকাণ্ড নিয়ে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। পুলিশ রতনের লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠিয়েছে। সারিয়াকান্দি থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) এনায়েতুর রহমান হত্যার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
সারিয়াকান্দির রামচন্দ্রপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ফজলুল করিম লিপু জানান, তার চাচাতো ভাইয়ের ছেলে রতন মিয়া আকন্দ কৃষি কাজের পাশাপাশি রামচন্দ্রপুর সাংগঠনিক ইউনিয়ন যুবলীগের সদস্য ছিলেন। তিনি কাটাখালি গ্রামের ইদ্রিস আকন্দের ছেলে। এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে রতনের সঙ্গে স্থানীয় বিএনপি, যুবদল ও ছাত্রদলের ক্যাডারদের সঙ্গে বিরোধ ছিল। সোমবার বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে রতন রামচন্দ্রপুর সাংগঠনিক ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে ইফতার করতে এসেছিলেন। বসে থাকার এক পর্যায়ে ফুলবাড়ি ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলু, তার দুই ছেলে ছাত্রদল কর্মী সনি ও রনি, জহুরুল, লিটু, সাগর, যুবদল কর্মী মিনহাজ এবং আবু বক্কর অতর্কিত পার্টি অফিসে ঢুকে পড়ে। তারা রতন মিয়ার বুকেসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। রক্তাক্ত রতনকে উদ্ধার করে অ্যাম্বুলেন্সে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
সারিয়াকান্দির থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) এনায়েতুর রহমান জানান, ‘এটা কোনও রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড নয়। পূর্ব কোনও বিরোধে তাকে হত্যা করা হয়েছে। সোমবার বিকালে রতন মিয়া রামচন্দ্রপুর সাংগঠনিক ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের সামনে বসেছিল। দুর্বৃত্তরা ছুরিকাঘাত করলে তিনি পার্টি অফিসে আশ্রয় নেন। পরে তাকে বগুড়া শজিমেক হাসপাতালে পাঠালে তার মৃত্যু হয়েছে।’ তিনি আরও জানান, মামলা দিলে আসামিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।