লঞ্চের ধাক্কায় বাল্কহেড ডুবি, অল্পের জন্য পেলো ৪ শতাধিক যাত্রী

ডুবে যাওয়া বাল্কহেডবরিশালের হিজলা উপজেলার ধুলখোলা এলাকায় মেঘনা নদীর মিয়ার চর পয়েন্টে যুবরাজ-৭ নামে যাত্রীবাহী লঞ্চের ধাক্কায় ছয়জন শ্রমিক নিয়ে একটি বাল্কহেড ডুবে গেছে। এ সময় লঞ্চটির তলা ফেটে পানি ঢুকতে শুরু করলে মাস্টার (চালক) লঞ্চটি চরে উঠিয়ে দেন। এতে বড় ধরনের দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পায় চার শতাধিক যাত্রী।  ডুবে যাওয়া বাল্কহেডের শ্রমিকরা তীরে উঠে আসতে সক্ষম হয়।

শনিবার (২৫ মে) সকালে এ দুর্ঘটনা ঘটে।  

হিজলা ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বেল্লাল হোসেন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন,‘পটুয়াখালী থেকে ঢাকাগামী এমভি যুবরাজ-৭ লঞ্চটি শুক্রবার দিবাগত রাতে মেঘনা নদীর বামনীর চর এলাকায় ঝড়ের কবলে পড়ে আটকে যায়। পরে অপর একটি লঞ্চ চর থেকে টেনে নামায় সেটিকে।  শনিবার সকাল ৭টার দিকে যুবরাজ লঞ্চটি মেঘনা নদীর মিয়ার চর চ্যানেলে প্রবেশ করছিল। ঠিক সেই মুহূর্তে এমভি সিয়াম নামে একটি বালুবাহী বাল্কহেড চ্যানেলের মুখে এসে পড়লে সংঘর্ষ হয়। তখন বাল্কহেডটি ডুবে যায় এবং যুবরাজ-৭-এর সামনের দিক থেকে তলা ফেটে যায়।’

তিনি আরও বলেন, ‘তলা ফেটে যাওয়ায় লঞ্চটির ভেতরে পানি ঢুকতে শুরু করে। এ সময় লঞ্চে থাকা চার শতাধিক যাত্রীর মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। তাৎক্ষণিকভাবে চালক লঞ্চটিকে পার্শ্ববর্তী চরে উঠিয়ে দিলে যাত্রীরা বড় ধরনের দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পায়।’

তিনি আরও বলেন, ‘খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে যাত্রীদের নিরাপদ আশ্রয়ে নিয়ে আসি। পরে অপর একটি লঞ্চে যাত্রীদের গন্তব্যের উদ্দেশে তুলে দেওয়া হয়। তবে যে বাল্কহেডটি ডুবে গেছে তার কোনও লোকজন পাওয়া যায়নি। বাল্কহেডটিতে ছয়জন শ্রমিক ছিল বলে শুনেছি। তারা সবাই তীরে উঠে আসতে পেরেছে।’

বরিশাল বিআইডব্লিউটিএ’র নৌ নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিভাগের উপ-পরিচালক আজমল হুদা মিঠু সরকার জানান, ডুবে যাওয়া বাল্কহেডটি উদ্ধারের চেষ্টা চলছে। লঞ্চটি ক্ষতিগ্রস্ত হলেও যাত্রীদের কোনও ক্ষতি হয়নি। যাত্রীদের অন্য লঞ্চে গন্তব্যে পাঠানো হয়েছে।