জানা গেছে, বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজের (শজিমেক) সহকারী অধ্যাপক শাহ সুফী হযরত মাওলানা ডা. আবদুল মান্নান পীর এ নির্দেশ দেন। বিষয়টি স্পর্শকাতর হওয়ায় কেউ বাধা দেননি। ডা. আবদুল মান্নান পৈত্রিক সূত্রে পীর।
আশেকপুর ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য শহিদুল ইসলাম ও আরও অনেকে জানান, ডা. আবদুল মান্নান নন্দীগ্রাম উপজেলার আইলপুনিয়া গ্রামের দরবারে মোজাদ্দেদিয়া (ফুরফুরা শরীর) পীর কেবলা। তিনি পারতেখুর ঈদগাহ মাঠে ইমামতি করেন। বুধবার সকালে তার ইমামতি করার কথা থাকলেও তিনি আসেননি। নিজে শাওয়ালের চাঁদ দেখতে না পাওয়ায় তিনি তার অনুসারীদের বুধবার রোজা রাখার নির্দেশ দেন। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে পারতেখুর গ্রামের ফতেহিয়া ওয়ায়সিসা দরবার শরিফ প্রাঙ্গণে ঈদের নামাজ আদায় করেন তিনি।
তাদের দাবি, পীরআবদুল মান্নান সরকারি চিকিৎসক হওয়ার পরও সরকারি নির্দেশ অমান্য করে পরদিন ঈদ উদযাপন এবং নামাজ পড়ানোর ঘটনায় জনগণের মাঝে বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়।
আশেকপুর ইউনিয়নের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজনের অভিযোগ, ডা. আবদুল মান্নান একজন ‘ভণ্ড পীর’। তিনি শজিমেক হাসপাতালের চিকিৎসক ও শিক্ষক হলেও তার অসুস্থ অনুসারীদের তেল এবং পানি পড়া দেন। তার দরবার শরীফে ধর্মীয় অনুষ্ঠানের নামে তামাশা চলে।
ডা. আবদুল মান্নান পরিচালিত পারতেখুর কাসেমিয়া গিয়াসিয়া দারুস সুন্নাহ্ হাফেজিয়া মাদ্রাসা ও এতিম খানার দেখাশোনাকারী আবদুল মোত্তালিব বলেন, ‘পীর সাহেব কাউকে বৃহস্পতিবার ঈদ পালন ও নামাজ আদায় করতে নির্দেশ দেননি। ১৫০ ভক্তের চাপেই তিনি বৃহস্পতিবার ঈদের নামাজে ইমামতি করেছেন। পীর সাহেব হৃদরোগী। তাই তিনি ফোন ধরা বা এ প্রসঙ্গে কোনও কথা বলবেন না।’
শাজাহানপুর থানার ওসি আজিম উদ্দিন বলেছেন, এ ব্যাপারে কেউ কোনও অভিযোগ করেননি।
এ প্রসঙ্গে শজিমেক হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. আবদুল ওয়াদুদ বলেন, ‘একজন শিক্ষিত মানুষের এমন কাজ করা ঠিক হয়নি।’ এ বিষয়ে জানতে পীর ডা. আবদুল মান্নানকে ফোন করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।