হাসপাতাল থেকে গৃহবধূর লাশ উদ্ধার, স্বামী-শাশুড়ি পলাতক

13ঢাকার দোহারে হাসপাতাল থেকে এক গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তবে হাসপাতালে পুলিশ পৌঁছানোর আগেই মরদেহ ফেলে পালিয়েছে তার পাষণ্ড স্বামী ও শাশুড়ি। নিহত গৃহবধূর নাম সাদিয়া আক্তার (১৯)। তার বাবার নাম মো. জসীম খালাসি। বাড়ি উপজেলার বিলাসপুর ইউনিয়নের মাঝিরচর পূর্বচর গ্রামে।

দোহার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বহির্বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎক ডা. ওমর ফারুক জানান, শুক্রবার (১৪জুন) বিকেলে গৃহবধূ সাদিয়াকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসে তার স্বামী মো. মোস্তফা ও শাশুড়ি বেবী বেগম। তারা জানান, সাদিয়া আক্তার গলায় রশি দিয়ে ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছে। খবর পেয়ে সাদিয়ার মা আকলিমা বেগম দ্রুত হাসপাতালে ছুটে যান। তখন তাকেও একই কথা বলেন সাদিয়ার স্বামী ও শাশুড়ি।

এ সময় সাদিয়ার মা কান্নাকাটি করতে থাকলে কৌশলে হাসপাতাল থেকে পালিয়ে যায় সাদিয়ার স্বামী মো. মোস্তফা ও শাশুড়ি বেবী বেগম। পরে দোহার থানা পুলিশ হাসপাতাল থেকে লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। নিহতের গলায় আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে।

নিহত সাদিয়া আক্তারের মা আকলিমা বেগম জানান, চার বছর আগে জয়পাড়া সাহেব বাজার এলাকার বেল্লাল শেখের ছেলে কুয়েত প্রবাসী মো. মোস্তফার সঙ্গে তার মেয়ে সাদিয়া আক্তারের বিয়ে হয়। স্বামী কুয়েত প্রবাসী হওয়ায় মেয়ে বেশিরভাগ সময় তার মায়ের বাড়িতেই থাকতো। গত রমজান মাসে তার স্বামী মোস্তফা ছুটিতে দেশে আসে।

শুক্রবার বিকালে সাদিয়া তার স্বামীকে নিয়ে মায়ের বাড়ি থেকে উত্তর জয়পাড়ার সাহেব বাজার এলাকায় অবস্থিত শশুর বাড়িতে যায়। এর দুই ঘণ্টা পর খবর আসে সে আত্মহত্যা করেছে।

আকলিমা বেগম বলেন, ‘আমার মেয়ের স্বামী মোস্তফা ও তার পরিবারের সদস্যরা পরিকল্পিতভাবে আমার মেয়েকে হত্যা করে আত্মহত্যার অপপ্রচার চালাচ্ছে। আমি এ হত্যাকাণ্ডের বিচার চাই।’

দোহার থানার ওসি মো. সাজ্জাদ হোসেন জানান, খবর পেয়ে পুলিশ হাসপাতাল থেকে গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করেছে। এই ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা দায়ের করা হয়েছে। লাশটি ময়নাতদন্তের জন্য স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের পর যদি হত্যার প্রমাণ মিলে তখন পরিবারের পক্ষ থেকে হত্যা মামলা নেওয়া হবে।