কলেজছাত্রীর গায়ে আগুন, দুই দিনেও রহস্য উদ্ঘাটিত হয়নি

নরসিংদীনরসিংদীতে ফুলন রানী বর্মণ (২২) নামে এক কলেজছাত্রীর গায়ে দুর্বৃত্তদের আগুন দেওয়ার ঘটনার দুই দিন অতিবাহিত হলেও এর প্রকৃত কারণ উদ্ঘাটন ও জড়িতদের গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। এ ঘটনায় থানা পুলিশ, গোয়েন্দা পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একাধিক তদন্ত দল কাজ করছে বলে জানিয়েছেন নরসিংদীর পুলিশ সুপার মিরাজ উদ্দিন আহমেদ।

এ ঘটনায় সন্দেহভাজন হিসেবে আটক করা হয়েছে ফুলনের ভাইয়ের শ্যালক সঞ্জীব রায়কে (২৪)। সে ফুলনকে দীর্ঘদিন ধরে উত্ত্যক্ত করে আসছিল বলে জানিয়েছেন ফুলনের স্বজন ও স্থানীয়রা।

এলাকাবাসী, ফুলনের স্বজন ও পুলিশের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) রাতে সংঘটিত এ ঘটনার পর ঘটনাস্থল থেকে কেরোসিনের বোতল, দিয়াশলাইয়ের বাক্স, ওড়না, পোড়া চুলসহ বিভিন্ন আলামত সংগ্রহ করে পুলিশ। জমিসংক্রান্ত বিরোধ, উত্ত্যক্ত করা, প্রেমঘটিত কারণ আমলে নিয়ে চালানো হচ্ছে তদন্ত কাজ। তদন্তকারী কর্মকর্তারা ফুলনের পরিবার, আত্মীয়, বন্ধু-বান্ধব ও এলাকাবাসীসহ প্রয়োজনীয় সবার সঙ্গে কথা বলেছেন।

বীরপুর মহল্লর বাসিন্দা স্বপ্না রানী দাস বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘ফুলন প্রেমের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় এ ঘটনা ঘটে থাকতে পারে। একটি ছেলে তাকে ডিস্টার্ব করতো বলে আমরা শুনেছি।’

মামলার তদন্ত কমকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই) আবদুল গাফফার বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘তদন্তে নেমে ভিকটিম ফুলনের সঙ্গে বেশ কয়েকজনের পরিচয় রয়েছে বলে জানতে পেরেছি। সে মোতাবেক নারায়ণগঞ্জের সোহাগ নামে একজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এছাড়া আরও কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। ভিকটিম ঢাকায় চিকিৎসাধীন থাকায় এখন পর্যন্ত তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। আজকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে গিয়ে ভিকটিমের জবানবন্দি নেওয়া হবে। এখন পর্যন্ত এ ঘটনায় দুজন আটক রয়েছেন।’

উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) রাতে নরসিংদী শহরের বীরপুর মহল্লায় নিজ বাড়ির পাশের একটি দোকান থেকে সওদা কেনা শেষে বাসায় ফেরার পথে ফুলনের শরীরে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয় দুর্বৃত্তরা। এতে তার শরীরের ২০ ভাগ পুড়ে গেছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক।

আরও পড়ুন:  নরসিংদীতে কলেজছাত্রীর গায়ে আগুনের ঘটনায় মামলা