বিদ্রোহী প্রার্থীর পক্ষে কাজ করার অভিযোগে এমপি’র বিরুদ্ধে মামলা

ওয়ারেসাত হোসেন বেলালনেত্রকোনার পূর্বধলা উপজেলা পরিষদের স্থগিত হওয়া নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে আগামীকাল মঙ্গলবার (১৮ জুন)। এই উপজেলা নির্বাচনে আইন ভঙ্গ করার অভিযোগে এলাকার সংসদ সদস্য ওয়ারেসাত হোসেন বেলালের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে থানায় মামলা দায়েরের জন্যে লিখিত অভিযোগ করেছেন রিটার্নিং কর্মকর্তা। পুলিশ মামলাটি আমলে নিয়েছে। অপরদিকে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠানে সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে নির্বাচন কমিশন। 

নির্বাচনি কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, পূর্বধলা উপজেলা পরিষদের নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল গত ১০ মার্চ। তবে অভিযোগ ওঠে, স্থানীয় সংসদ সদস্য ওয়ারেসাত হোসেন বেলাল চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী মাছুদ আলম তালুকদার টিপুর পক্ষে নির্বাচনি বিধি ভঙ্গ করে প্রভাব বিস্তার করছেন। এই নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ দলীয় প্রার্থী জাহিদুল ইসলাম সুজন ও আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী মাছুদ আলম তালুকদার টিপুর মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হচ্ছে। এ অবস্থায় নির্বাচন কমিশন নির্বাচনের আগে ৮ মার্চ নির্বাচন স্থগিত ঘোষণা করে। পরে কমিশনের একজন যুগ্ম সচিবকে দিয়ে ঘটনার তদন্ত করানো হয়। তদন্তে  নির্বাচনি বিধিমালা ২০১৬ এর ২২ বিধি, ২০১৩ এর বিধি ৭০ (১) (ক) , ৭৩ (১) (ক)  ও ৭৩ (১) (ক) (অ)  ধারা ভঙ্গের প্রমাণ পান তদন্ত কর্মকর্তা। এর ভিত্তিতে গত মঙ্গলবার রাতে কমিশন নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তাকে থানায় নিয়মিত মামলা করার নির্দেশ দেয়। 

আচরণবিধি ভঙ্গের দায়ে ছয় মাস থেকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড বা অনধিক ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অথবা উভয় দণ্ডের কথা বলা আছে নির্বাচনি আইনে।

পূর্বধলা উপজেলার পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে দুই জন, নারী ভাইসচেয়ারম্যান পদে পাঁচ জন  ও ভাইস চেয়ারম্যান পদে সাত জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ১১টি ইউনিয়নের এই উপজেলায় ৭৪টি কেন্দ্রে ২ লাখ ২৪ হাজার ৫৫৮জন ভোটার রয়েছেন।

জেলা নির্বাচন ও জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা আব্দুল্যাহ-আল-মোতাহসিম জানান, ‘নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ মতো মামলা দায়েরে থানায় অভিযোগ দেওয়া হয়েছে।’

পূর্বধলা থানার ওসি মো. তাওহিদুর রহমান জানান, ‘রিটার্নিং কর্মকর্তা স্থানীয় সংসদ সদস্য ওয়ারেসাত হোসেন বেলালের বিরুদ্ধে মামলার জন্যে লিখিত অভিযোগ দিলে মামলাটি আমলে নেওয়া হয়েছে।’ 

এদিকে নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ করতে প্রয়োজনীয় সংখ্যক পুলিশ, র‍্যাব, বিজিবি নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। 

জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তাদের নিয়ে সভা করা হয়েছে। কেন্দ্রে কেন্দ্রে আট থেকে ১০ জন করে পুলিশ দায়িত্ব পালন করবেন। যেসব কেন্দ্র অধিক গুরুত্বপূর্ণ ওইসব কেন্দ্রে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অতিরিক্ত সদস্য কাজ করবেন। থাকবে স্ট্রাইকিং ফোর্স, মোবাইল টিম। পাঁচ প্লাটুন বিজিবি দায়িত্বে নিয়োজিত থাকবে। প্রায় ২০ জন হাকিমও দায়িত্ব পালন করবেন।’