নাম উল্লেখ করা আসামিরা হলেন– নড়াইল শহরের মহিষখোলা এলাকার আবুল হোসেনের দুই ছেলে ঠিকাদার রেজাউল আলম ওরফে জার্মান আলম (৫০) ও কামরুল ইসলাম (৪০), একই এলাকার কাদের মোল্লার ছেলে ঠিকাদার মঈনউল্লাহ দুলু (৫০) ও দুখু মিয়া (৪০)।
এ মামলার বাদী মো. জাকারিয়া খান ওই বিদ্যালয়ের ২০১৭-২০১৮ শিক্ষাবর্ষের ছাত্র। সে শহরের ভওয়াখালী এলাকার জুলমত খানের ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত ১৫ জুন সকালে নড়াইল সরকারি উচ্চ বালক বিদ্যালয়ের শিক্ষক প্রদেশ কুমার মল্লিক তার প্রাইভেট কোচিংয়ে এক ছাত্রীকে চড় মারেন। ওই ছাত্রী এ ঘটনা বাড়িতে গিয়ে জানালে তার বাবা ঠিকাদার মঈনউল্লাহ দুলুকে জানায়। এরপর দুলু ওই শিক্ষককে বাসা থেকে শার্টের কলার ধরে টেনেহিঁচড়ে বের করে নিয়ে এসে মারধরসহ লাঞ্ছিত করেন। এ ঘটনা জানাজানি হলে ছাত্ররা বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে। তারা এর প্রতিবাদে রবিবার সকালে সড়ক অবরোধ ও জেলা প্রশাসকের কার্যালয় ঘেরাও করে। এ সময় দুলুর সমর্থকরা আন্দোলকারী ছাত্রদের মারপিট ও ভয় দেখায়। একপর্যায়ে বিক্ষোভকারী ছাত্রদের ওপর পিস্তল নিয়ে চড়াও হয় দুলুর সমর্থক ঠিকাদার রেজাউল করিম (জার্মান আলম)।
এ ঘটনার পর জেলা প্রশাসকের নির্দেশে রেজাউল করিমের লাইসেন্সকৃত পিস্তলটি জব্দ করে থানায় জমা রাখা হয়েছে।