শায়েস্তাগঞ্জে আ.লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীর ভোট বর্জন

উপজেলা পরিষদ নির্বাচনহবিগঞ্জের নবগঠিত শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোট কারচুপির অভিযোগে নির্বাচন বর্জন করেছেন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী সাবেক ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আলী আহমেদ খান। শায়েস্তাগঞ্জ প্রেসক্লাবে মঙ্গলবার (১৮ জুন) বিকালে সাংবাদিক সম্মেলন করে তিনি এ অভিযোগ করেন।

সংবাদ সম্মেলনে আলী আহমেদ খান বলেন, ‘বিরামচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে আওয়ামী লীগ দলীয় নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আবদুর রশিদ তালুকদার ইকবালের সমর্থকরা ব্যাপক কারচুপি করেছেন। তারা অনেক জাল ভোট দিয়েছেন।’ এ সময় তিনি নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেন।

এ নির্বাচনে কারচুপি প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, ‘জোর করে নৌকায় সিল মারার সময় আমার এজেন্টরা বাধা দিলে তাদেরকে লাঞ্ছিত করা হয়েছে। পাশাপাশি আমাকেও লাঞ্ছিত করা হয়েছে। এক নেতার ইশারায় এ ধরনের কর্মকাণ্ড করা হয়েছে।’ 

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিরামচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রিজাইডিং অফিসার মো. জাকির হোসেন বলেন, ‘বিরামচরে কোনও ধরনের জাল ভোট হয়নি। কাউকে লাঞ্ছিতও করা হয়নি। কোনও ধরনের অনিয়ম আমার কেন্দ্রে হয়নি।’

তিনটি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা নিয়ে শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলা গঠিত। এখানে মোট ভোটার সংখ্যা ৪৫ হাজার ৬৬৬ জন। এর মধ্যে পুরুষ ২২ হাজার ৬২১ এবং নারী ২৩ হাজার ৪৫ জন। ১৮টি কেন্দ্রের ১০৪টি কক্ষে ভোটগ্রহণ করা হয়। নির্বাচনে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের দায়িত্ব পালন করেন ছয় জন।

এখানে চেয়ারম্যান পদে আলী আহমেদ খান ঘোড়া প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। অন্য প্রার্থীরা হলেন– আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আবদুর রশীদ তালুকদার ইকবাল (নৌকা) ও স্বতন্ত্র প্রার্থী বিএনপি নেতা নূরপুর ইউনিয়নের পাঁচ বারের চেয়ারম্যান গোলাম কিবরিয়া চৌধুরী বেলাল (আনারস)। ভাইস চেয়ারম্যান এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে পাঁচজন করে মোট ১০ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

উল্লেখ্য, দেশের ৪৯২তম এবং সর্বশেষ প্রতিষ্ঠিত উপজেলা হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ। ২০১৭ সালের ২০ নভেম্বর প্রশাসনিক পুনর্বিন্যাস সংক্রান্ত জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির বৈঠকে ৪৯২তম উপজেলা হিসেবে শায়েস্তাগঞ্জকে অনুমোদন দেওয়া হয়।