ইউপি চেয়ারম্যান আহমেদ আলি মাস্টার জানান, ‘গত কয়েকদিন ধরে হঠাৎ করে আমার এলাকায় মেঘনায় ভাঙন দেখা দিয়েছে। এতে করে সরকারের স্থায়ী প্রকল্প নদী রক্ষাবাঁধ হুমকির মুখে রয়েছে। ভাঙনের কারণে স্থানীয় মসজিদ নদীগর্ভে বিলীন হতে চলেছে। আমি উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও ইউএনওকে বিষয়টি জানিয়েছি। উপজেলা চেয়ারম্যান তাৎক্ষণিক বালুভর্তি জিও ব্যাগ ফেলার ব্যবস্থা করে মসজিদটি রক্ষা করেন।’
এ বিষয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আবু রায়হান বলেন, ‘২০০৯ অর্থ বছর থেকে এ পর্যন্ত চাঁদপুর সদরের ছয় কিলোমিটার এবং হাইমচরের সাড়ে ১০ কিলোমিটার নদী এলাকায় বাঁধ সংরক্ষণে ২৪৫ কোটির কাজ সম্পাদন করা হয়েছে। এর মধ্যে হাইমচরের চরভৈরবী এলাকার আমতলীসহ হাইমচরের বিভিন্ন স্থানে দুই হাজার ৭শ’ মিটার বাঁধ এলাকায় গত দুই বছর ধরে বিভিন্ন স্থানে ঝুঁকি দেখা দিয়েছে। এখানে যে মেনটেইনেন্সের প্রয়োজন ছিল, তার বরাদ্দ আমরা পাইনি। হঠাৎ করেই গত কয়েক দিন ধরে পানির চাপ বাড়ায় আমতলী এলাকায় ভাঙন দেখা দিয়েছে। গত দুই দিনে এখানের ১৫৮ মিটার এলাকা ভেঙে গেছে।’ তিনি বলেন, পানি উন্নয়ন বোর্ডের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলীর ওই এলাকায় যাওয়ার কথা। তবে তিনি সেখানে গিয়েছেন কিনা তা জানা যায়নি।
এই কর্মকর্তা বলেন, ‘বাঁধ রক্ষণাবেক্ষণে একটি প্রকল্প পাঠিয়েছি। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি। পানি উন্নয়ন বোর্ডের পক্ষ থেকে কোনও জিও ব্যাগ ফেলা হচ্ছে না। তবে স্থানীয় উপজেলা চেয়ারম্যান নিজ উদ্যোগে ওই এলাকায় জিও ব্যাগ ফেলছেন। তিনি যে পরিমাণ জিও ব্যাগ ফেলছেন পরবর্তীতে সেগুলোর হিসাব আমাদের দেবেন।’
হাইমচর উপজেলা পরিষদ চেয়ারমান নূর হোসেন পাটওযারী বলেন, ‘নদী ভাঙনের সংবাদ পেয়ে সঙ্গে সঙ্গেই পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলাপ করে ভাঙন কবলিত এলাকায় যাই। বিভিন্ন স্থাপনা ভাঙন ঠেকাতে তৎক্ষণাৎ ভাঙন ঠেকাতে অন্য একটি প্রকল্পের জিও ব্যাগ এখানে ফেলা শুরু করেছি।’
হাইমচর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ফেরদৌসী বেগম জানান, ‘ভাঙনকৃত এলাকাটি আমি পরিদর্শন করেছি। পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাদের অতি দ্রুত প্রদক্ষেপ নেওয়ার জন্য নির্দেশনা দিয়েছি।’
আরও পড়ুন-
গাইবান্ধায় নিম্নাঞ্চল প্লাবিত, নদীভাঙনে শত শত পরিবার গৃহহীন