মাত্র পাঁচজন চিকিৎসক
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়, ৩১ শয্যার এ হাসপাতালকে ইতোপূর্বে ৫০ শয্যা ঘোষণা করা হয়েছে। ৫০ শয্যার ভিত্তিতে রোগী ভর্তি এবং ওষুধ পথ্য দেওয়া হলেও জনবল কাঠামো রয়েছে ৩১ শয্যার। ফলে চিকিৎসা সংকট লেগেই থাকে। ১০ ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা নিয়ে গঠিত এই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসক ও সহকারী সার্জনের পদ রয়েছে ২১টি যার মধ্যে কর্মরত আছেন মাত্র পাঁচজন। অ্যানেসথেসিয়া প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত একজন ডাক্তার দিয়ে গাইনি বিভাগের সিজারিয়ান অপারেশন এর আগে চালু রাখা গেলেও অ্যানেসথেসিস্টকে বদলি করায় গত বছরের জানুয়ারি থেকে প্রায় ১৯ মাস ধরে এ হাসপাতালে সিজারিয়ান অপারেশন বন্ধ রয়েছে। জুনিয়র গাইনি কনসালটেন্ট পদে একজন চিকিৎসক থাকলেও অ্যানেসথেসিস্টের অভাবে এ বিভাগের সিজারিয়ান কার্যক্রম এখন বন্ধ। দীর্ঘদিন অব্যবহৃত থাকায় অপারেশন থিয়েটারের মূল্যবান যন্ত্রপাতিগুলো নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।
ডেন্টাল বিভাগের কার্যক্রম ১ যুগ ধরে প্রায় বন্ধ
হাসোতাল সূত্রে জানা গেছে, ডেন্টাল বিভাগে চিকিৎসক থাকলেও ডেন্টাল চেয়ারটি ২০০৭ সালে অকেজো হওয়ায় এ বিভাগের কার্যক্রম ১২ বছর ধরে বন্ধ প্রায়। এদিকে মেডিসিন, সার্জারি, আল্ট্রাসনোগ্রাফি, অ্যানেসথেসিয়া, ইউনানী ও শিশু বিভাগে কোনও চিকিৎসক নেই। আবাসিক মেডিক্যাল অফিসারের পদে একজন চিকিৎসক কয়েক দিন আগে দুই বছরের প্রশিক্ষণে যাওয়ায় পদটিও শূন্য রয়েছে। হাসপাতালের স্যানিটারি ইন্সপেক্টরের পদও ফাঁকা। স্টোর কিপারও নেই অনেক দিন।
হাসপাতালের এক্স-রে মেশিনটি ২০০৯ সালে অকেজো হলেও আজ পর্যন্ত নতুন মেশিন সরবরাহ করা হয়নি। ফলে ১০ বছরের বেশি সময় ধরে এখানে এক্স-রে বিভাগ বন্ধ রয়েছে। বাইরে থেকে পরীক্ষা- নিরীক্ষা করতে হচ্ছে রোগীদের। এ অবস্থায় উপজেলা শহরে তিনটি ক্লিনিক ও ৯-১০টি ডায়াগনস্টিক সেন্টার গড়ে উঠেছে।
হাসপাতালের সমস্যাগুলো সমাধানের জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা কমিটির সভায় বারবার সিদ্ধান্ত নেওয়া হলেও সংকট সমাধানে কর্তৃপক্ষ কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। কমিটির সহ-সভাপতি উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আখতারুল ইসলাম বলেন, ‘এ বিষয়ে গত বছরের জুন মাসের সভায় সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। রেজুলেশনের কপি সংশ্লিষ্ট দফতরে পাঠানো হয়েছে। কেন পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে না তা জানা নেই। সম্প্রতি জাতীয় সংসদে এক নোটিশে এই কমিটির সভাপতি ও স্থানীয় সংসদ সদস্য জাহিদুর রহমান জাহিদ হাসপাতালের সমস্যা সমাধানের জন্য স্বাস্থ্যমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।’
কেন এই স্বাস্থ্যকেন্দ্রের শূন্য পদ এবং যন্ত্রপাতিগুলো সরবরাহ করা হচ্ছে না জানতে চাইলে রংপুর বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. মোস্তফা খালিদ বলেন, ‘এ বিষয়ে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। খুব শিগগিরই হয়তো সমস্যাগুলোর সমাধান সম্ভব হবে।