X
মঙ্গলবার, ০৮ জুলাই ২০২৫
২৩ আষাঢ় ১৪৩২

হবিগঞ্জে ২ পক্ষের সংঘর্ষে একজন নিহত, ১৪৪ ধারা জারি

হবিগঞ্জ প্রতিনিধি
০৭ জুলাই ২০২৫, ২১:৫৯আপডেট : ০৭ জুলাই ২০২৫, ২১:৫৯

হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ শহরে দুই পক্ষের মধ্যে দফায় দফায় টানা সাড়ে চার ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষে একজন নিহত এবং প্রায় দেড় শতাধিক লোক আহত হয়েছেন। এ সময় অর্ধশতাধিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভাঙচুর এবং কমপক্ষে ১০টি দোকানে আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে প্রশাসন ১৪৪ ধারা জারি করেছে।

সোমবার (৭ জুলাই) দুপুর ২টা থেকে বিকাল সাড়ে ৬টা পর্যন্ত শহরের মধ্যবাজার, শেরপুর রোড ও হাসপাতাল সড়কজুড়ে সংঘর্ষ, ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, ভাঙচুর এবং অগ্নিসংযোগ চলে।

নিহত ব্যক্তির নাম ফারুক মিয়া (৩৮)। তিনি পূর্ব তিমিরপুর গ্রামের আওয়াল মিয়ার ছেলে এবং পেশায় অ্যাম্বুলেন্স চালক।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার রাতে তিমিরপুর গ্রামের খরচু মিয়া তালুকদারের সঙ্গে ইনাতগঞ্জ ইউনিয়ন যুবলীগ সভাপতি আশাহিদ আলী আশার কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে আশাহিদের পক্ষ নিয়ে আনমনু গ্রামবাসী তিমিরপুর গ্রামবাসীর সঙ্গে সংঘর্ষ জড়ায়। এ ঘটনার শুক্রবার রাতে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনার জের ধরে সোমবার দুপুরে তিমিরপুর ও চরগাঁও গ্রামের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ায় মৎস্যজীবী সম্প্রদায়ের আনমনু, রাজাবাদ, রাজনগর, কানাইপুর, নোয়াপাড়াসহ কয়েকটি গ্রাম। বিকাল সাড়ে ৬টা পর্যন্ত চলে সংঘর্ষ। এ ঘটনায় ফরুক মিয়া নামে একজন নিহত হন। অর্ধশতাধিক লোক আহত হন। আহতদের মধ্যে ২০ জনকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সংঘাত চলাকালে বেসরকারি ইউনাইটেড হাসপাতালসহ প্রায় অর্ধশতাধিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভাঙচুর ও ১০টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে অগ্নিসংযোগ করা হয়।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে বিকাল ৪টায় নবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রুহুল আমীন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে শহর ও আশপাশের এলাকায় বাংলাদেশ দণ্ডবিধির ১৪৪ ধারা জারি করা হয়। এই ধারা অনুযায়ী, সন্ধ্যা থেকে আগামীকাল মঙ্গলবার রাত ১২টা পর্যন্ত জনসমাবেশ, মিছিল, জমায়েত, অস্ত্র বহন ও যেকোনও ধরনের সংঘাতমূলক কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়।

তবে ১৪৪ ধারা কার্যকর হওয়ার পরও কিছুক্ষণের জন্য সংঘর্ষ চলতে থাকে। পরে সন্ধ্যার পর বিপুল সংখ্যক পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্য যৌথ অভিযান চালিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বর্তমানে এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে এবং পুলিশ টহল জোরদার করেছে।

নবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রুহুল আমিন একজন নিহত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, বর্তমানে সেনাবাহিনী ও পুলিশ কঠোর অবস্থানে রয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে।

/এমএএ/
সম্পর্কিত
উল্টা ও মোল্লা গোষ্ঠীর সংঘর্ষে ছাত্রদল নেতা নিহত, আহত ২০
পুলিশের হামলার প্রতিবাদে পটিয়া থানার সামনে ‘ব্লকেড’ কর্মসূচি
গোপালগঞ্জে ভ্যান চুরির মীমাংসা করতে বসে উল্টো সংঘর্ষ, আহত অর্ধশতাধিক
সর্বশেষ খবর
অন্তর্বর্তী সরকারের সময়েই সংস্কার শেষ করতে হবে: আখতার হোসেন
অন্তর্বর্তী সরকারের সময়েই সংস্কার শেষ করতে হবে: আখতার হোসেন
গণমাধ্যমকে হুমকির প্রতিবাদ জানিয়ে অর্ধশতাধিক সাংবাদিকের বিবৃতি
গণমাধ্যমকে হুমকির প্রতিবাদ জানিয়ে অর্ধশতাধিক সাংবাদিকের বিবৃতি
শেষ ম্যাচ কি খেলতে পারবেন শান্ত?
শেষ ম্যাচ কি খেলতে পারবেন শান্ত?
আমরা মিডিয়ার স্বাধীনতা চাই: হাসনাত আব্দুল্লাহ
আমরা মিডিয়ার স্বাধীনতা চাই: হাসনাত আব্দুল্লাহ
সর্বাধিক পঠিত
বাংলাদেশে নিজের অনেক ভক্ত জানার পর যা বললেন কেট উইন্সলেট
বাংলাদেশে নিজের অনেক ভক্ত জানার পর যা বললেন কেট উইন্সলেট
প্রসিকিউশন গণহত্যার দালিলিক প্রমাণ দিতে পারেনি: শেখ হাসিনার স্টেট ডিফেন্স
প্রসিকিউশন গণহত্যার দালিলিক প্রমাণ দিতে পারেনি: শেখ হাসিনার স্টেট ডিফেন্স
‘আ.লীগের সদস্যরা যেন স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে নির্বাচন করতে না পারে’
‘আ.লীগের সদস্যরা যেন স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে নির্বাচন করতে না পারে’
মুক্তিযোদ্ধা কোটায় নিয়োগপ্রাপ্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীর তথ্য সংগ্রহ করেছে মন্ত্রণালয়
মুক্তিযোদ্ধা কোটায় নিয়োগপ্রাপ্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীর তথ্য সংগ্রহ করেছে মন্ত্রণালয়
তিন নেতাকে অব্যাহতি দিলেন জিএম কাদের
তিন নেতাকে অব্যাহতি দিলেন জিএম কাদের