নীলফামারীতে বন্যার কারণে ১৬টি প্রাথমিকে পাঠদান বন্ধ

জেলার অনেক প্রাথমিক বিদ্যালয়েই পানি ঢুকে পড়েছেটানা সাত দিনের বৃষ্টি ও উজানের পাহাড়ি ঢলে নীলফামারীতে বন্যার কারণে দুই উপজেলার ১৬টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পাঠদান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ডিমলায় নয়টি ও কিশোরগঞ্জের সাতটি প্রাথমিক বিদ্যালয়। জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কার্যালয়ের মনিটারিং কর্মকর্তা মো. হাসান তারিক বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

সোমবার (১৫ জুলাই) ডালিয়া তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে বিপদসীমার (৫২ দশমিক ৬০ সেন্টিমিটার) নিচ দিয়ে সকাল ৬টায় ৪৫ সেন্টিমিটার, ৯টায় ২৮ সেন্টিমিটার ও দুপুর ১২টায় ১৫ সেন্টিমিটার পানিপ্রবাহ ছিল।

মো. হাসান তারিক বলেন, ‘জলঢাকা উপজেলা বন্যাপ্লাবিত হলেও এখন পর্যন্ত ক্ষয়ক্ষতির কোনও তথ্য আমাদের কাছে আসেনি। তবে এ ধরনের সংবাদ পাওয়া গেলে তাৎক্ষণিক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) গেজ পাঠক (পানি পরিমাপক) মো. নুরুল ইসলাম জানান, বন্যা পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে। তিনি আশা করেন, বন্যার পানি আরও কমতে পারে।

ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রবিউল ইসলাম বলেন, ‘গত শনিবার (১৩ জুলাই) ডালিয়া পয়েন্টে বিপদসীমার (৫২ দশমিক ৬০ সেন্টিমিটার) ৫০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছিল। সোমবার দুপুর ১২টা থেকে ওই পয়েন্টে বিপদসীমার ১৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে।’

নীলফামারী জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. ওজমান গণি মোবাইল ফোনে জানান, বন্যার পানি প্রবেশের কারণে ডিমলা ও কিশোরগঞ্জ উপজেলায় ১৬টি প্রাথমিক বিদ্যালয় পাঠদানের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। এর মধ্যে ডিমলায় সাতটি ও কিশোরগঞ্জে নয়টি বিদ্যালয় প্লাবিত হয়েছে। ডিমলায় পাঁচটি বিদ্যালয় ক্ষতিগ্রস্ত ও চারটি পাঠদানে অনুপযোগী এবং কিশোরগঞ্জে পাঁচটি ক্ষতিগ্রস্ত ও দুটি পাঠদানে অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।

শিক্ষা কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘বন্যার কারণে যেসব বিদ্যালয়ে পাঠদান স্থগিত করা হয়েছে, পানি নেমে গেলে ওইসব বিদ্যালয়ে বিশেষ পাঠদানের ব্যবস্থা করা হবে।’