এরই মধ্যে জানাজার সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে প্রশাসন। সকাল থেকে উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন স্থান থেকে দলে দলে লোকজন জানাজায় শরিক হতে ঈদগাহ মাঠে আসতে শুরু করেছেন। দলীয় নেতাদের আশা, কমপক্ষে পাঁচ লাখ মানুষ অংশ নেবেন জানাজায়। এছাড়া রংপুরে এরশাদকে দাফন করার সিদ্ধান্তে এখনও অটল রয়েছেন তারা। সোমবার সন্ধ্যায় রংপুর নগরীর দর্শনা এলাকায় এরশাদের বাসভবন পল্লী নিবাসের পাশে তার বাবা মরহুম মকবুল হোসেন মেমোরিয়াল হাসপাতাল এলাকায় লিচু বাগান চত্বরে তার জন্য কবর খনন করা হয়। রংপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র ও মহানগর জাপা সভাপতি মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে কবরের জায়গা নির্ধারণ এবং নিজেই মাটি কেটে কবর খননের কাজ শুরু করেন।
মহানগর জাতীয় পার্টির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম জানিয়েছেন, ঢাকা থেকে জাতীয় পার্টি ও অঙ্গ সংগঠনের কয়েকশ’ নেতা রংপুরে এসে পৌঁছেছেন। এছাড়া রাজশাহী বিভাগ থেকে বিপুলসংখ্যক মানুষ জানাজায় শরিক হবেন।
এদিকে, এরশাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে রংপুর জেলা দোকান মালিক সমিতি নগরীর সব ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ও দোকানপাট দুপুর ২টা পর্যন্ত বন্ধ রাখবে। এছাড়া নগরীর বিভিন্ন স্থানে কালো পতাকা উত্তোলন করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, জাতীয় সংসদে বিরোধীদলীয় নেতা, জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান, সাবেক রাষ্ট্রপতি ও সেনাশাসক হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ গত রবিবার (১৪ জুলাই) রাজধানীর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। তার বয়স হয়েছিল ৮৯ বছর। গত ২৬ জুন থেকে এরশাদ সিএমএইচে চিকিৎসাধীন ছিলেন। হিমোগ্লোবিন স্বল্পতা, ফুসফুসে সংক্রমণ ও কিডনির জটিলতায় ভুগছিলেন তিনি।
আরও পড়ুন-
এরশাদ আর নেই