টাঙ্গাইলে এখনও বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে দুই নদীর পানি

টাঙ্গাইলের বিভিন্ন উপজেলায় চারশ’ গ্রামের মানুষ বন্যাকবলিত হয়ে পড়েছে। খাদ্য, বিশুদ্ধ পানি ও গো-খাদ্য সংকটে দুর্ভোগে পড়েছেন চার লাখের অধিক মানুষ। ঘর-বাড়িতে পানি প্রবেশ করায় অনেকে গরু-ছাগল ও পরিবার-পরিজন নিয়ে বাঁধ ও উঁচু বিদ্যালয়ে আশ্রয় নিয়েছেন।

পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, টাঙ্গাইল অংশে সোমবার (২২ জুলাই) ভূঞাপুর স্লুইচগেট এলাকায় যমুনা নদীতে ১৩.৩৫ সেন্টিমিটার, কালিহাতীর যমুনা নদীতে ১২.৬৫ সেন্টিমিটার ও এলাশিনঘাট ধলেশ্বরী নদীতে ১০.৯৫ সেন্টিমিটার বিপদ সীমার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে।

জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কক্ষ সূত্রে জানা যায়,  গত কয়েকদিনে উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও অতিবর্ষণে নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে জেলার ভূঞাপুর, গোপালপুর, কালিহাতী, টাঙ্গাইল সদর, নাগরপুর, ধনবাড়ী, ঘাটাইল, ও বাসাইল উপজেলার চার শতাধিক গ্রামের এক লাখ ৩ হাজার ৪৮৭টি পরিবারের মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। এরমধ্যে সব চেয়ে বেশি মানুষ পানিবন্দি রয়েছেন ভূঞাপুর উপজেলায়। দুটি গুরুত্বপূর্ণ বাঁধ ভেঙে গেছে। ৫ হাজার ৪৮১ হেক্টর ফসলি জমি পানিতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। জেলার বিভিন্ন এলাকায় ২৮ কিলোমিটার কাঁচা সড়ক সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত ও ১৯৬ কিলোমিটার সড়ক আংশিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এছাড়াও ভূঞাপুরে জেলার ৮৬টি বিদ্যালয়ে পানি প্রবেশ করায় সেগুলো সাময়িক বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

এদিকে জেলার বিভিন্ন এলাকায় ১৬টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। পানিবন্দি মানুষদের চিকিৎসার জন্য ৫২টি মেডিক্যাল টিম সার্বোক্ষণিক কাজ করছে।

অপরদিকে, জিআর চাল ৯শ’ মেট্টিকটন, জিআর ক্যাশ ১৮ লাখ টাকা, শুকনো খাবার ২ হাজার প্যাকেট ও ৫শ’ সেট তাবু বরাদ্ধ পাওয়া গেছে এবং ইতোমধ্যেই তা বিতরণ করা হচ্ছে।

টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক মো. শহীদুল ইসলাম বলেন, ‘পানিবন্দি মানুষদের সার্বক্ষণিক খোঁজ-খবর রাখা হচ্ছে। তাদের মধ্যে ত্রাণ বিতরণ করা হয়েছে। পর্যাপ্ত পরিমাণ ত্রাণ সামগ্রী মজুদ রয়েছে। এছাড়া আরও ত্রাণের জন্য চাহিদা পাঠানো হয়েছে।’