টেকনাফে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ দুই মাদক ব্যবসায়ী নিহত

বন্দুকযুদ্ধ

কক্সবাজারের টেকনাফে র‍্যাবের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে' দুই মাদক ব্যবসায়ী নিহত হয়েছে। সোমবার (২৯ জুলাই) ভোরে  বাহারছড়া উত্তর শীলখালি মেরিন ড্রাইভ সড়কে এ ঘটনা ঘটে। র‌্যাব-২ এর কোম্পানি কমান্ডার (এসপি) মহিউদ্দিন ফারুকী বিষয়টি নিশ্চত করেন।

র‌্যাব জানায়, নিহত ব্যক্তিরা হলো— টেকনাফের সাবরাং লেজিরপাড়ার বশির আহমদের ছেলে আবদুর রহমান (৪২) ও রামুর গোয়ালিয়া পাড়া কুনিয়া গ্রামের কবির আহমদের ছেলে ওমর ফারুক (৩১)

র‍্যাব-২ এর দাবি, নিহত ব্যক্তিরা ছিল শীর্ষ ইয়াবা ব্যবসায়ী। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে ৩০০ বোতল ফেনসিডিল, একটি বিদেশি পিস্তল, চার হাজার পিস ইয়াবা, চার রাউন্ড গুলি এবং একটি প্রাইভেট কার জব্দ করা হয়। এ ঘটনায় র‍্যাবের নায়েক আবদুর রহমান, সৈনিক লিটন ও নুরুল ইসলাম আহত হয়েছেন।

র‌্যাব কর্মকর্তা মহিউদ্দিন ফারুকী জানান, র‍্যাবের -২ এর কাছে খবর ছিল যে, টেকনাফ থেকে ইয়াবার একটি চালান প্রাইভেট কারে করে ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হবে। এই  খবরের ভিত্তিতে তিনিসহ র‍্যাবের একটি দল আগে থেকে টেকনাফের মেরিন ড্রাইভে অবস্থান নেয়। সেখানে তারা দ্রুতগামী একটি প্রাইভেট কারকে থামার সংকেত দেয়। কিন্তু এসময় র‍্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে ওই গাড়িতে থাকা ইয়াবা কারবারিরা র‍্যাবকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। এসময় আত্মরক্ষার্থে র‍্যাবও পাল্টা গুলি চালায়। এক পর্যায়ে মাদক ব্যবসায়ীরা পালিয়ে গেলে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় ওই দুই মাদক ব্যবসায়ীকে উদ্ধার করে টেকনাফ হাসপাতালে আনা হয়। সেখানকার জরুরি বিভাগের চিকিৎসক আহত  এই ব্যক্তিদের উন্নত চিকিৎসার জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে রেফার করেন, কিন্তু এরমধ্যেই তারা মারা যায়।

টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক প্রণয় রদ্রু বলেন, ‘র‍্যাবের একটি দল গুলিবিদ্ধ দুই জনকে হাসপাতালে নিয়ে আসে। দুজনের শরীরের বিভিন্ন জায়গায় গুলির চিহ্ন ছিল। আহত র‍্যাব সদস্যদের চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।’

র‌্যাব কর্মকর্তা এসপি মহিউদ্দন বলেন, ‘দীর্ঘ দিন ধরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে ফাঁকি দিয়ে টেকনাফ থেকে মাদকের বড় বড়  চালান ঢাকায় নিয়ে বিক্রি করতো তারা। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ দুটি কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।’