বগুড়া শহরের লতিফপুর কলোনি এলাকার এক ছাত্রীর মামা মোস্তাসিম হাবিব রিপন ও কয়েকজন অভিভাবক অভিযোগ করেন, ওই উচ্চ বিদ্যালয়ের গণিতের সহকারী শিক্ষক হাসান জাহিদ ক্লাসে অংক না পারলেই ছাত্রছাত্রীদের বেত্রাঘাত করেন। তিনি বুধবার সকালে ৮ম শ্রেণির ‘খ’ শাখার ৫২ ছাত্রীকে ক্লাসে অংক করতে দেন। ২-১ জন ছাড়া সবাই অংকটি করতে ব্যর্থ হয়। তখন জাহিদ প্রচণ্ড ক্ষুব্ধ হন। ক্লাসের দরজা-জানালা লাগিয়ে দিয়ে ছাত্রীদের বেত দিয়ে আঘাত করেন। এতে তারা জখম হয়। ছাত্রীদের কান্নার শব্দ পেয়ে এক আয়া ক্লাসে গেলে তাকে ধমক দিয়ে তাড়িয়ে দেওয়া হয়।
খবর পেয়ে অভিভাবকরা স্কুলে গিয়ে মেয়েদের বাড়িতে আনেন। তাদের মাঝে প্রচণ্ড ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। কয়েকজন অভিভাবক বৃহস্পতিবার সকালে শাজাহানপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফুয়ারা খাতুনের কাছে লিখিত অভিযোগ দেন। কিন্তু স্কুল বগুড়া সদর উপজেলার মধ্যে হওয়ায় তিনি এ ব্যাপারে সদরের নির্বাহী কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলেন। পরে অভিভাবকরা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আজিজুর রহমানের কাছে অভিযোগ দেন। এর অনুলিপি বগুড়ার জেলা প্রশাসক ও মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে দেওয়া হয়েছে। ঘটনার পরপরই ওই শিক্ষক স্কুলে ছুটির দরখাস্ত দিয়ে লাপাত্তা হয়েছেন। ফোন বন্ধ রাখায় তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
স্কুলের প্রধান শিক্ষক শহিদুল ইসলাম জানান, অর্ধশত ছাত্রীকে বেত্রাঘাত করায় বৃহস্পতিবার বিকালে স্কুলে ম্যানেজিং কমিটির জরুরি সভা ডাকা হয়। সর্বসম্মতিতে সভাপতি মহিদুল ইসলাম অভিযুক্ত শিক্ষক হাসান জাহিদকে সাময়িক বরখাস্ত করেন।