কিশোরীগঞ্জ থানা হাজতে এক ব্যক্তির মৃত্যু, পুলিশের দাবি ‘আত্মহত্যা’

নীলফামারী

নীলফামারীর কিশোরীগঞ্জে পুলিশ হেফাজতে আব্দুল্লাহ আল মামুন (২২) নামে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। পুলিশের দাবি তিনি আত্মহত্যা করেছেন।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সার্কেল) অশোক কুমার পাল এ তথ্য জানিয়েছেন।

মামুন উপজেলার সদর ইউনিয়নের যদুমনি গ্রামের মৃত হুজুর আলীর ছেলে।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার দাবি করেন, শনিবার (১০ আগস্ট) দুপুরে মামুনকে আটক করে হাজতে রাখার পর বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে সে হাজতখানার কাঁথা ছিড়ে গলায় জড়িয়ে আত্মহত্যা করে।

কিশোরীগঞ্জ থানার ওসি  হারুন অর রশীদ বলেন, সদর ইউনিয়নের কেসবা তেলীপাড়া এলাকার মৃত জোবান উদ্দিনের ছেলে আব্দুস কুদ্দুসের দামুর গরু চুরি করে নিয়ে যাওয়ার সময় এলাকাবাসী গরুসহ আব্দুল্লাহ আল মামুনকে আটক করে।

এরপর ওই এলাকার সংরক্ষিত ইউপি সদস্য নার্গিস বেগমের বাড়িত তাকে রাখা হয়। খবর পেয়ে পুলিশ দুপুর দুইটার দিকে গরুসহ ওই চোরকে নিয়ে এসে থানা হাজতে রাখে। এ ব্যাপারে  আব্দুল্লাহ আল মামুনকে আসামি করে থানায় গরু চুরির মামলা করা হয় (মামলা নম্বর-৭ ধারা ৪১৩ তাং-১০/০৮/২০১৯)।

এই মামলার বাদী হয়েছেন ওই থানার এসআই জাহিদ হাসান। বিকাল সাড়ে ৪টার  দিকে হাজতখানার ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পাওয়া যায় তাকে। সে কাঁথা ছিড়ে গলায় পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করে।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সার্কেল) অশোক কুমার পাল এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, এ ঘটনায় একটি ইউডি মামলা দায়ের করা হয়েছে। পাশাপাশি একটি তদন্ত টিম গঠন করা হবে।