অবশেষে সচল হলো সিরাজগঞ্জ হাসপাতালের ইলেক্ট্রো অ্যানালাইজার

ইলেক্ট্রো অ্যানালাইজার যন্ত্রটি সচল হওয়ায় ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীদের ভোগান্তি কমবেঅবশেষে সচল হলো সিরাজগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব সরকারি জেনারেল হাসপাতালের ল্যাবরেটরিতে রক্ত পরীক্ষার ইলেক্ট্রো অ্যানালাইজার যন্ত্রটি। এটি সচল হওয়ায় ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীদের প্লাটিলেট, সিবিসি, আইজিজি ও আইজিএম’সহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষা এ হাসপাতালেই করা সম্ভব হবে।

হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. রমেশ চন্দ্র সাহা রবিবার (১২ আগস্ট) সকালে বলেন, ‘ঢাকা থেকে এক্সপার্ট ডেকে এনে মেশিনটি গত সপ্তাহে সচল করা হলেও সেটি ট্রায়ালে ছিল। বর্তমানে এটি নির্ভরযোগ্য রিডিং দিতে সক্ষম হয়েছে।’

হাসপাতালটির ল্যাবরেটরি ইনচার্জ মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘হাসপাতালে বর্তমানে ডেঙ্গু রোগীদের বেশ চাপ রয়েছে। যন্ত্রটি সচল হওয়ায় সরকারি হাসপাতালে ভর্তি ডেঙ্গু রোগীর স্বজনদের আর বাইরে যেতে হবে না।’

এদিকে, পাশের শহীদ এম মনসুর আলী মেডিক্যাল কলেজে এই যন্ত্রটি সচল থাকলেও দক্ষ ও অভিজ্ঞ টেকনিশিয়ান না থাকায় সেটি দিয়ে ডেঙ্গুরোগীদের পরীক্ষা সম্ভব হয়নি। মাঝেমধ্যে আউট-সোর্সিং জনবল দিয়ে এসব পরীক্ষা করা হলেও রিডিংয়ে বেশ গরমিল হতো।

সিরাজগঞ্জে গত ২৪ ঘণ্টায় ২৭ জন ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হয়েছে। গত ২০ দিনে জেলায় ২৭৭ জন ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত করেছে স্বাস্থ্য বিভাগ। প্রতিদিনই আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে।

সিরাজগঞ্জের সিভিল সার্জন ডা. জাহিদুল ইসলাম জানান, জেলার বিভিন্ন হাসপাতালে ৭১ জন ডেঙ্গু রোগী চিকিৎসাধীন। ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতালে ৩৮ জন, নর্থ বেঙ্গল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ২১ জন, আভিসিনা হাসপাতালে একজন ও এনায়েতপুর খাজা ইউনুস আলী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ১১ জন চিকিৎসাধীন। গত ২০ দিনে মোট ২৭৭ জন ডেঙ্গু রোগীর সন্ধান পাওয়া গেছে। তাদের মধ্যে বেশির ভাগই সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। বর্তমানে জেনারেল হাসপাতালসহ অন্যান্য স্থানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ৭১ জন।