আদালত চত্বর থেকে বাদীকে অপহরণ, দুই ঘণ্টার মধ্যে উদ্ধার

বাদী জালাল হাওলাদার (৭০)

গাছ বিক্রির পাওনা টাকা আদায়ের একটি মামলার হাজিরা দিয়ে যাওয়ার সময় বরগুনা পাথরঘাটার আদালত চত্বর থেকে বাদী জালাল হাওলাদারকে (৭০) অপহরণ করেছে দুর্বৃত্তরা। মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) দুপুর ১২টার দিকে এই ঘটনা ঘটে। তবে আদালতের নির্দেশে অপহরণের দুই ঘণ্টার মধ্যেই পাথরঘাটা কলেজ গেট এলাকা থেকে পুলিশ তাকে উদ্ধার করেছে।

পাথরঘাটা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাইদুল ইসলাম এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।   

মামলার বাদী জালাল হাওলাদার উপজেলার কালমেঘা ইউনিয়নের কুপদোন গ্রামের মৃত নজর আলী হাওলাদারের ছেলে।

জালালের বোন কুলসুম ও মমতাজ বেগমের অভিযোগ, একই গ্রামের মো. হারুনসহ ৬ জনকে আসামি করে গাছ বিক্রির পাওনা টাকা আদায়ের একটি মামলা করেন ভাই জালাল হাওলাদার। ওই মামলার ধার্য তারিখে পাথরঘাটা জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজিরা দিয়ে যাওয়ার সময় আদালত চত্বর থেকে দুটি মোটরসাইকেলে ৬ জন লোক এসে তাকে তুলে নিয়ে যায়। এসময় আমরা বাধা দিলে আমাদেরও মারধর করা হয়।

এই অপহরণের ঘটনা তাৎক্ষনিক আদালতকে অবহিত করলে বিচারক অপহৃতকে উদ্ধারের নির্দেশ দেন পাথরঘাটা থানা পুলিশকে। পুলিশ পাথরঘাটা কলেজ গেট এলাকা থেকে জালালকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে আদালতে হাজির করে। এসময় বাদীর চিকিৎসার জন্য নির্দেশ দেন আদালত।  

এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী জালাল হাওলাদার বলেন, ‘আমাকে ধরে নিয়ে মারধর করেছে, মামলা প্রত্যাহারের জন্যও হুমকি দিয়েছে। আমি বাঁচতে চাই। আমার মামলা মোকদ্দমা লাগবে না।’ তবে কারা তাকে অপহরণ এবং মারধর করেছে  তাদের নাম বলতে পারেনি তিনি।

মামলার বাদী পক্ষের কৌঁশলি ও এপিপি মো. জাবির হোসেন বলেন, ‘মামলার আসামিরা ভাড়াটে সন্ত্রাসী দিয়ে বাদীকে অপহরণ করিয়েছে এবং তাকে মারধরও করেছে। আদালত বাদীর চিকিৎসার জন্য পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছেন।’  

এ বিষয় পাথরঘাটা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাইদুল ইসলাম বলেন, ‘তাকে মারধর করা হয়নি, সে সিঁড়ি থেকে পরে পায়ে ব্যাথা পেয়েছে।’