যশোরে বিদ্যুৎ সংযোগ দিতে গিয়ে লাইনম্যানের মৃত্যু

বিদ্যুৎস্পৃষ্ট (প্রতীকী ছবি) যশোরে বিদ্যুৎ সংযোগ লাইন ঠিকভাবে বন্ধ না করে কাজ করার সময় জালাল ফকির (৪৭) নামে একজন লাইনম্যান মারা গেছেন। মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) দুপুরে যশোর শহরের খোলাডাঙ্গা এলাকায় আয়েশা আবেদ ফাউন্ডেশনে বিদ্যুত লাইনের সংযোগ দেওয়ার সময় বিদ্যুতায়িত হয়ে তিনি মারা যান। জালাল ফকির নেত্রকোনার পূর্বধলা উপজেলার জড়িয়াবর এলাকার জানিয়েল ফকিরের ছেলে।
ওয়েস্টজোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি- ওজোপাডিকো শ্রমিক কর্মচারী লীগের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবীর বলেন, ‘মঙ্গলবার দুপুরে খোলাডাঙ্গা এলাকায় আয়েশা আবেদ ফাউন্ডেশন নামে একটি প্রতিষ্ঠানে বিদ্যুতের নতুন একটি সংযোগ দিতে গিয়েছিলেন ইঞ্জিনিয়ার রবিউল করিম, লাইনম্যান জালাল ফকিরসহ বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মীরা। ওই পোলে দুটি ফিডার রয়েছে। সেখানে থাকা প্রকৌশলীর নির্দেশনা মতে, জালাল পোলে উঠে বিদ্যুৎ সংযোগের কাজ শুরু করতে গেলে বিদ্যুতায়িত হয়ে তার শরীর ঝলসে যায়। পরে সেখানে থাকা অন্য কর্মীরা তাকে নিচে নামিয়ে যশোর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান।’ যশোর জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের ডাক্তার আহমেদ তারেক জানান, হাসপাতালে আনার আগেই তিনি মারা যান।
বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মীরা বলেন, ‘কাজ শুরু করার আগে পাওয়ার হাউস থেকে সেই লাইনের বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ করা হয়। অফিস থেকে ক্লিয়ারেন্স পাওয়ার পরই লাইনম্যানরা পোলে ওঠেন। খোলাডাঙ্গায় কাজ করার সময় সেখানে একটি লাইনের সংযোগ বন্ধ থাকলেও অপরটি সচল ছিল। সে কারণে জালাল তার স্পর্শ করার সঙ্গে সঙ্গে বিদ্যুতায়িত হন।’ এ দুর্ঘটনার জন্য তারা দায়িত্বরত প্রকৌশলী সঞ্জয় সরকারকে দায়ী করছেন।
এ বিষয়ে উপ-সহকারী প্রকৌশলী (ডিভিশন-১) সঞ্জয় সরকার বলেন, ‘লাইনে কাজ করার সময় হাউস থেকে বিদ্যুত সংযোগ বন্ধ (শাট ডাউন) করার পর ক্লিয়ারেন্স দেওয়া হয়। আজ ক্লিয়ারেন্স দেওয়ার আগেই লাইনম্যান পোলে উঠেছিলেন। সে কারণে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে।’
ওজোপাডিকোর তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী শহিদুল আলম জানান, ঘটনার বিষয়ে স্থানীয় এবং খুলনা বিভাগীয় পর্যায়ে দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে। এ বিষয়ে কারও গাফিলতি থাকলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।