হবিগঞ্জ সদর মডেল থানার (ওসি) তদন্ত জিয়াউর রহমান বুধবার রাতে জানান, চার দিন আগে হাসপাতালের গাইনি ওয়ার্ডে এক ছেলে সন্তানের জন্ম দেন চুনারুঘাট উপজেলার জোয়ার লালচান্দ গ্রামের মোর্শেদ কামালের স্ত্রী ফাতেমা বেগম। বুধবার সন্ধ্যায় লোপা আক্তার নিজেকে ডাক্তার পরিচয় দিয়ে ওই নবজাতককে নিয়ে কৌশলে হাসপাতাল থেকে সটকে পড়েন। কিছুক্ষণ পর স্বজনরা বিষয়টি কর্তব্যরত চিকিৎসক ও নার্সদের জানালে চুরির বিষয়টি ফাঁস হয়। এক পর্যায়ে স্বজনরা একজন টমটম চালকের সহায়তায় শহরের পুরাণ মুন্সেফি এলাকার রিপন আহমেদের স্ত্রী লোপা আক্তারের বাসায় গিয়ে ওই নবজাতককে উদ্ধার করেন।
ওসি আরও জানান, নবজতককে তার স্বজনদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। অভিযোগ পেলে অভিযুক্ত লোপা আক্তারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
অভিযুক্ত লোপা আক্তার পুলিশকে জানান, তিনি নিজেও অন্তঃস্বত্তা ছিলেন। এর আগে একাধিকবার তার বাচ্চা নষ্ট হয়েছে। চিকিৎসকের মাধ্যমে এবারও তিনি জানতে পেরেছেন তার গর্ভের বাচ্চা নষ্ট হয়ে গেছে। এ জন্যই মানসিক হতাশা থেকে তিনি অন্যের বাচ্চা চুরি করেছেন।