প্রসঙ্গত, বিশ্ববিদ্যালয়ের এক হাজার ৪৪৫ কোটি টাকার উন্নয়ন প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগে উপাচার্য ও কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের পাল্টাপাল্টি বক্তব্যে বিতর্ক সৃষ্টি হয়। কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের শীর্ষ দুই নেতার বিরুদ্ধে প্রকল্পের ঠিকাদারি এবং চার থেকে ছয় শতাংশ টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগ তোলেন উপাচার্য। অন্যদিকে, উপাচার্য ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে জাবি ছাত্রলীগকে এক কোটি ৬০ লাখ টাকা বাটোয়ারা এবং ঠিকাদার নিয়োগে কমিশন বাণিজ্যের অভিযোগ তোলে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। উপাচার্যের অভিযোগের জবাব এবং আত্মপক্ষ সমর্থন করে প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে লেখা চিঠিতে পাল্টা এ অভিযোগ তোলেন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন ও সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী।
ছাত্রলীগের অভিযোগ প্রসঙ্গে উপাচার্য বলেন, ‘অর্থ লেনদেনের বিষয়টি সম্পূর্ণ বানোয়াট গল্প। টাকাপয়সা নিয়ে তাদের সঙ্গে আমার কোনও কথা হয়নি। তারা তাদের মতো করে কাজ করে। তারা কার কাছে কমিশন পায় বা না পায় তা আমি জানি না। এ বিষয়ে তারা আমাকে ইঙ্গিত দিলে আমি বলেছি, “টাকাপয়সা নিয়ে কোনও আলাপ তোমরা আমার সঙ্গে করবে না। তোমরা যা চাও তা তোমাদের মতো করে করো।” এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীও জানেন।’
কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ নেতারা মিথ্যাচার করছেন উল্লেখ করে উপাচার্য বলেন, ‘তাদের মূল উদ্দেশ্য ছিল, তারা ঠিকাদারের কাছ থেকে কিছু শতাংশ নেবে। তারা এ বিষয়ে আমাকে ইঙ্গিত দিয়েছে। কিন্তু আমার কাছে এসে তারা হতাশ হয়েছে। তারা প্রধানমন্ত্রীর কাছে যে খোলা চিঠি লিখেছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের চলমান আন্দোলন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘ক্যাম্পাসে আন্দোলনের মাধ্যমে কিছু মানুষ আমাকে দুর্নীতিবাজ বানাতে চাচ্ছে। তাই আমি চাই, দুর্নীতি যেই করুক তা তদন্ত করা হোক। যে বা যারা বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মান নষ্ট করেছে তার তদন্ত হোক।’
তদন্তের মাধ্যমেই সত্য বেরিয়ে আসবে বলে তিনি জানান।