দুপুর ১টা পর্যন্ত ওই চাতালে ২৯টি বাবুই, ২৪টি ঘুঘু, দুটি সারস, একটি কবুতর ও একটি কোয়েল পাখি মারা হয়েছে। মাহাবুব হাসান মনু নামে এক যুবক মৃত পাখিগুলোর ছবি তুলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করেন।
সরেজমিন দেখা গেছে, এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ ব্যক্তিরা ওই রাইস মিলের সামনে পাখিগুলো জড়ো করে রেখে ‘পাখি হত্যার বিচার চাই’ লেখা প্ল্যাকার্ড টাঙিয়ে রেখেছেন। এ সময় কোহিনুর বেগম নামে একজন নারী তার কবুতর হত্যার বিচার দাবি করেন।
ওই চাতালের কর্মচারী ও ফড়িয়া ধান ব্যবসায়ী আবদুস সালাম বলেন, ‘বিষ দেওয়ায় পাখিগুলো পড়ে মারা যাচ্ছে। বিষয়টি ঠিক হয়নি।’ আরও দুই চাতালশ্রমিক রবিউল ইসলাম ও আশরাফুল ইসলামও একই কথা বলেন।
ঘটনাপ্রসঙ্গে কথা বলতে চাতাল মালিক মানিকের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
এ বিষয়ে লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক আবু জাফর বলেন, ‘ঘটনাস্থলে এডিসি (রেভিনিউ) আহসান হাবীবকে পাঠানো হয়েছে। তিনি ফিরে আসলেই আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
এডিসি রেভিনিউ আহসান হাবীব জানান, ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেছে। বিষয়টি নিয়ে আলোচনা চলছে।