ফাঁসির আদেশপ্রাপ্ত আসামির মৃত্যু

নাটোরনাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার কৃষক ওমেদ আলী ওরফে চায়না হত্যা মামলার প্রধান আসামি ও ফাঁসির আদেশপ্রাপ্ত নিজাম উদ্দিন (৪৮) মারা গেছেন। বুধবার সকালে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। সন্ধ্যায় দোগাছি গ্রামের গোরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান নিলুফার ইয়াসমিন ডালু ও বড়াইগ্রাম থানার ওসি দিলীপ কুমার দাস বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

নিহত নিজামউদ্দিন বড়াইগ্রাম উপজেলার নগর ইউনিয়নের দোগাছি গ্রামের মৃত রিয়াজউদ্দিন প্রামানিকের ছেলে। প্রকাশ্যে বন্দুক দিয়ে গুলি করে একজনকে হত্যার দায়ে আদালত তাকে ২০১৭ সালে মৃত্যুদণ্ড দেন।

ইউপি চেয়ারম্যান নিলুফার ইয়াসমিন ডালু ও নগর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ইয়াসিন আলী সরকার জানান, ২০০৬ সালের আগস্ট মাসে দোগাছি গ্রামের বিলে মাছ ধরার জাল পাতাকে কেন্দ্র করে বিবাদ সৃষ্টি হয় নুর মোহাম্মদ ও সোহেল আলী নামের দুই প্রতিবেশীর মধ্যে। এ বিষয়ে ২ অক্টোবর গ্রাম্য শালিসে দুই পক্ষের মধ্যে মারামারি হলে নিজামউদ্দিন তার নিজের বন্দুক দিয়ে ওই গ্রামের ডুমন প্রামাণিকের ছেলে ওমেদ আলী ওরফে চায়নাকে গুলি করে হত্যা করে।

এঘটনায় ২১ জনকে আসামি করে বড়াইগ্রাম থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়। দীর্ঘ শুনানি শেষে ২০১৭ সালের ৮ আগস্ট নাটোরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক হাসানুজ্জামান দোষ প্রমাণ না হওয়ায় ২০ আসামিকে খালাস ও প্রধান আসামি নিজামউদ্দিনকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেন।

রায় ঘোষণার পর থেকে প্রায় আড়াই বছর যাবত নিজামউদ্দিন রাজশাহী জেলখানায় ছিলেন। মঙ্গলবার রাতে হঠাৎ হৃদরোগে অসুস্থ বোধ করলে জেলখানা কর্তৃপক্ষ তাকে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার সকালে তার মৃত্যু হয়।