সরেজমিন সদর উপজেলার ভাটোদাঁড়া কালীমন্দির চত্বরে দেখা যায়, স্থানীয় কুমার সুজন পাল প্রতিমা নির্মাণে ব্যস্ত সময় পার করছেন। তিনি জানান, গত বছর তিনি মোট ২৬ সেট প্রতিমা নির্মাণের চুক্তি পেয়েছিলেন। এবার এখন পর্যন্ত চুক্তি পেয়েছেন ২৩ সেট। জেলার বাইরে পাবনা সদর ও ঈশ্বরদীতেও তিনি প্রতিমা তৈরির চুক্তি করেছেন।
জেলা পূজা উদযাপন কমিটির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট খগেন্দ্রনাথ রায় জানান, গত বছরের চেয়ে এবার জেলায় মণ্ডপের সংখ্যা দুটি বেড়েছে। এবার নাটোর পৌর এলাকায় ৩৫টিসহ সদর উপজেলায় ৬৮টি, বড়াইগ্রামে ৪৭টি, নলডাঙ্গায় ৫৬টি, সিংড়ায় ১০১টি, গুরুদাসপুরে ৩৬টি, বাগাতিপাড়ায় ২৫টি এবং লালপুরে ৪২টি মণ্ডপে পূজার প্রস্তুতি চলছে।
এদিকে, পূজা উদযাপনে আর্থিক সংকটের কথা তুলে ধরে দিঘাপতিয়া পাগলী কালিমাতা মন্দির কমিটির সদস্য সপ্তম সরকার জানান, প্রতিবছরই দুর্গাপূজায় সরকারি সহায়তার পাশাপাশি স্থানীয় হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের কাছ থেকে চাঁদা তুলে পূজা উদযাপন করা হয়। কিন্তু ওই টাকার চেয়ে প্রতিবারই খরচ বেশি হয়। আর এই বাড়তি খরচ জোগাতে হয় মন্দির কমিটিকে। প্রতিমা তৈরির উপকরণের মূল্য বাড়ার কারণে এবারে তাদের খরচ বেশি হবে বলে আশঙ্কা করছেন তারা। এজন্য তিনি সরকারি সহায়তা বাড়াতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানান।
এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক শাহরিয়াজ জানান, জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সঙ্গে বৈঠকের পর তারা ওপর মহলে বেশি বরাদ্দ চেয়ে চিঠি পাঠিয়েছেন।