নড়িয়ায় পদ্মায় বাঁধ ধসে ১০টি বাড়ি বিলীন

নড়িয়ায় পদ্মার ডান তীর রক্ষা বাঁধ প্রকল্পে ভাঙনশরীয়তপুরের নড়িয়ায় পদ্মার ডান তীর রক্ষা বাঁধ প্রকল্পের একটি অংশ ধসে পড়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে নড়িয়ার সাধুরবাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। বাঁধ ধসের পর শুক্রবার সকাল পর্যন্ত ১০টি বাড়ি নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। সকাল থেকে বালু ভর্তি জিও ব্যাগ ফেলে ভাঙন রোধের চেষ্টা করছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।

পানি উন্নয়ন বোর্ড ও স্থানীয় মানুষের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, নড়িয়া উপজেলার সুরেশ্বর থেকে জাজিরা উপজেলার কাইউম খার বাজার পর্যন্ত ৮ দশমিক ৯ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে এক হাজার ৭৭ কোটি টাকা ব্যয়ে পদ্মার ডান তীর রক্ষা বাঁধ প্রকল্পের কাজ চলছে। পদ্মা নদীতে পানি ও স্রোত বেড়ে যাওয়ায় হঠাৎ করেই বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে প্রকল্প এলাকার সাধুরবাজারে বাঁধের দেড়শ মিটার অংশ ধসে পড়ে। এসময় নদী তীরবর্তী মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। রাতের মধ্যেই একটি মসজিদসহ পাঁচটি বাড়ি নদীতে বিলীন হয়ে যায়। সকালে আরও পাঁচটি বাড়ি নদীগর্ভে চলে যায়। ভাঙন এলাকার মানুষকে নিরাপদ দূরত্বে সরে যেতে সারারাত মাইকিং করে স্থানীয় প্রশাসন। সকাল থেকে ভাঙন প্রতিরোধে ছয়টি নৌযান দিয়ে বালু ভর্তি জিও ব্যাগ ফেলতে শুরু করে পানি উন্নয়ন বোর্ড। তবে ভাঙন আতঙ্কে ঘরবাড়িসহ মূল্যবান মালামাল সরিয়ে নিচ্ছেন স্থানীয়রা।নড়িয়ায় পদ্মার ডান তীর রক্ষা বাঁধ প্রকল্পে ভাঙন

কেদারপুর ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান সানাউল্লাহ মিয়া জানান, ‘সন্ধ্যার দিকে হঠাৎ করে বাঁধের একটি অংশ ধসে পড়ে। এরপর রাতের মধ্যেই একটি মসজিদসহ ১০/১২টি বাড়ি বিলীন হয়ে যায়।’

নড়িয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জয়ন্তি রুপা রায় বলেন, ‘এ ঘটনার সঙ্গে সঙ্গে আশপাশের বাসিন্দাদের নিরাপদে সরিয়ে নেওয়ার কাজ শুরু করেছি। ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণের কাজ চলছে।’

পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী প্রকাশ কৃষ্ণ সরকার জানান, ‘তীব্র স্রোতে পদ্মার ডান তীর রক্ষা বাঁধ প্রকল্পের ২০৮ মিটার অংশ ধসে পড়েছে। এখনও থেমে থেমে ভাঙন চলছে। ঘূর্ণ স্রোত সৃষ্টি হয়েছে। ভাঙন প্রতিরোধে সকাল থেকেই বালু ভর্তি জিও ব্যাগ ফেলা হচ্ছে।’

উল্লেখ্য, গত বছর নড়িয়ার ৮ কিলোমিটার জুড়ে ব্যাপক ভাঙন ছিল। ভাঙনে ওই এলাকার সাড়ে ছয় হাজার পরিবার গৃহহীন হয়। নড়িয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের একটি অংশসহ অসংখ্য স্থাপনা বিলীন হয়ে যায়।