২৯ সেপ্টেম্বর রবিবার সকাল থেকে ইছামতী চা-বাগানের মঙ্গলচন্ডী মন্দিরে দেবী দুর্গার শৈলপুত্রী রূপের পূজা শুরু হয়। দেবী দুর্গার ৯টি রূপ দেখতে প্রথম দিন থেকেই ভক্তরা মন্দিরে ভিড় শুরু করেন।
দেবীর ব্রহ্মচারিণী, চন্দ্রঘণ্টা, কুষ্মাণ্ডা, স্কন্ধমাতা, কাত্যায়নী, কালরাত্রী, মহাগৌরী ও সিদ্ধিধাত্রী রূপের পূজা করা হবে। আগামী ৮ অক্টোবর দশমী পূজা ও প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে পূজার সমাপ্তি হবে।
মঙ্গলচণ্ডী মণ্ডপে এক সারিতে সাজিয়ে রাখা হয়েছে দুর্গার ৯ রূপের ৯টি প্রতিমা। সেখানে চলছে পূজা-অর্চনা। ঢাকের আওয়াজে মোহিত হচ্ছে চারপাশ। নিজের ও দেশের মঙ্গল কামনায় দেবীর চরণে অঞ্জলিও দিচ্ছেন ভক্তরা।
শ্রী শ্রী মঙ্গলচণ্ডী সেবাশ্রম পূজা উদযাপন পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক বিশ্বজিৎ দেব জানান, এ দেবস্থলটি এই এলাকার সবচেয়ে প্রাচীন স্থাপনা হিসেবে পরিচিত। এখানে রয়েছে মঙ্গলচণ্ডী দেবীর থলি। ওই ঐতিহাসিক স্থানটিকে ধরে রাখতে এবার নবম বারের মতো পূজার আয়োজন করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, দেবী দুর্গার ৯টি রূপকে বোঝানোর জন্য মূলত নবদুর্গা বলা হয়। শরৎকালে ৯ দিনে প্রতিদিন দেবী দুর্গার এই ৯ রূপের একেক রূপকে পূজা করা হয়। এর আগে ২০১১ সালে এই পূজা এখানে শুরু হয়েছিল। ভক্তদের সংখ্যা প্রথমে কম হলেও এখন ভিড় লেগেই থাকে।
শ্রী শ্রী মঙ্গলচণ্ডী পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি পরিমল ভৌমিক বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘২০০ বছরের পুরাতন শ্রী শ্রী মঙ্গলচণ্ডী থলিতে বৈদিক নিয়ম অনুযায়ী দেবীর পৃথক ৯টি রূপের কাঠামো তৈরি করে রবিবার প্রথম দিন দেবীর শৈলপুত্রী রূপে পূজা করা শুরু হয়।’