১৩ বছরে প্রতিমা তৈরির কারিগর ঝালকাঠির বিধান কুমার

ঝালকাঠির সর্বকনিষ্ঠ প্রতিমা তৈরির কারিগর বিধান কুমার দাস বিধান কুমার দাস। প্রাথমিক শিক্ষার গণ্ডি পেরিয়ে ঝালকাঠি পৌর আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তি হলেও অভাবের কারণে বন্ধ হয়ে যায় লেখাপড়া। বাসন্ডা ইউনিয়নের কুনিহাড়ি গ্রামের হাওলাদার বাড়ির বিমল কুমার দাস ও অঞ্জলী রানীর ছোট ছেলে বিধান। ১৩ বছর বয়সী এ কিশোর ঝালকাঠি জেলায় প্রতিমা তৈরির সর্বকনিষ্ঠ কারিগর।
এ বিষয়ে তার বাবা বিমল কুমার দাস বলে, ‘দুই বছর আগে ঝালকাঠি শহরের কালীবাড়ি মন্দিরে প্রতিমা তৈরির কাজ দেখে তার মনে প্রতিমা তৈরির কারিগর হওয়ার সাধ জাগে।কারও কাছে না শিখে বাড়িতে নিজেই মাটি দিয়ে প্রতিমা তৈরির কাজ করতে থাকে। একপর্যায়ে গত বছর সে নিজের ঘরের বারান্দায় তৈরি করে দুর্গা প্রতিমা।এ বছর বাড়ির আঙিনায় বড় করে দুর্গামণ্ডপ বানানোর সিদ্ধান্ত নেয় বিধানের স্বজন ও প্রতিবেশীরা। প্রায় দুই মাসের চেষ্টায় বিধান তৈরি করে দেবী দুর্গার মূর্তি। এই প্রথমবারের মতো বাসন্ডা ইউনিয়নের কুনিহাড়ি গ্রামের হাওলাদার বাড়ির এ পূজামণ্ডপটি সরকারি তালিকাভুক্ত হয়।
হাওলাদার বাড়ির দুর্গাপূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি সঞ্জিব হাওলাদার ও সাধারণ সম্পাদক সুধাংশু চন্দ্র এদবর বলেন, বিধানের প্রতিভা সত্যিই প্রসংশনীয়। মণ্ডপ এলাকার বাসিন্দা উত্তম কুমার বলেন, কোনও ডাইস বা খর্মা ছাড়াই ছেলেটি নিজ হাতে কার্তিক, গনেশ, লক্ষ্মী, স্বরস্বতী, মহীশুর ও দুর্গা মায়ের মুখমণ্ডল তৈরি করেছে। কিশোর বয়সে তার প্রতিভা এতই নিখুঁত যে পৃষ্ঠপোষকতা পেলে ভবিষ্যতে সে অনেক বড় কারিগর হতে পারবে বলে মন্তব্য করেন মণ্ডপে ঘুরতে আসা দর্শনার্থীরা।
এদিকে বিধানের তৈরি প্রতিমা দেখতে ঝালকাঠি শহরের বিভিন্ন স্থান থেকে দর্শনার্থী ও হিন্দু ধর্মালম্বীরা ভিড় জমাচ্ছেন বাসন্ডা ইউনিয়নের কুনিহাড়ি গ্রামের হাওলাদার বাড়ির পুজা মণ্ডপটিতে।
এ বিষয়ে বিধান কুমার দাস জানায়, ‘আমি নিজ হাতে প্রতিমা বানাবো এটা আমার শখ ছিল। শখকে আমি টার্গেটে পরিণত করি।’