যশোরে ইউএনও’র ফোন ক্লোন করে বিকাশে টাকা দাবি

প্রতারণাযশোরের চৌগাছা উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) জাহিদুল ইসলামের অফিসিয়াল মোবাইল ফোন নম্বর ক্লোন করে ফের প্রতারণার চেষ্টা করেছে একটি চক্র। ইউএনও জাহিদুল ইসলাম বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এ বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য চৌগাছা থানার ওসিকে জানানো হবে।
চৌগাছা কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা আব্দুল লতিফ বলেন, ‘সোমবার (৭ অক্টোবর) সকাল ১০ টার দিকে ইউএনও’র অফিসিয়াল মোবাইল ফোন নম্বর থেকে আমার ফোনে কল আসে। নম্বরটি আমার ফোনে সেভ করা ছিল। ফোনে বলা হয়, আমি ইউএনও বলছি। পরে আরেকটি ফোন নম্বর দিয়ে বলা হয়, এটা আমার ব্যক্তিগত নম্বর। অফিসিয়াল নম্বরে ভালো শোনা যাচ্ছে না। ব্যক্তিগত নম্বরে কল দিতে বলে লাইন কেটে দেয়। ওই নম্বরে কল দিলে ওপার থেকে জানতে চাওয়া হয়, আমি প্রতিষ্ঠানের জন্য সরকারি ল্যাপটপ পেয়েছি কিনা। জবাবে না বলায় ওপাশ থেকে বলা হয়, তাহলে আপনার নাম তালিকায় রাখলাম। বিকাল পাঁচটায় অফিস থেকে ল্যাপটপ নিয়ে যাওয়ার কথা বলা হয়। এছাড়া খরচের জন্য ৮ হাজার টাকা লাগবে বলে জানানো হয়। ওই টাকা সেই সময়ই বিকাশে পাঠিয়ে দেওয়ার কথা বলা হয়।’
তিনি বলেন, ‘ওপাশ থেকে বিকাশ নম্বর দিতে চাইলে আমি বলি, বিকাশে নয় আমি এখনই আপনার অফিসে আসছি। তখন ওপাশ থেকে বলা হয়, তাহলে তালিকা থেকে আপনার নাম বাদ দিয়ে দেওয়া হলো।’
অধ্যক্ষ আব্দুল লতিফ আরও বলেন, ‘এরপরই আমি উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে যাই।তখন তিনি একটি মিটিংয়ে থাকায় তার অফিসের একজন কর্মকর্তাকে জানিয়ে আসি। পরে ইউএনও’র কার্যালয়ে গিয়ে তাকে বিষয়টি জানাই। তিনি এ বিষয়ে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধানদের সতর্ক থাকতে বলেছেন।’
উপজেলা নির্বাহী অফিসার জাহিদুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘অধ্যক্ষ বিষয়টি আমাকে জানিয়েছেন। এর আগেও এমন একটি ঘটনার পর বিষয়টি সম্পর্কে শিক্ষকদের সচেতন করেছি। সে কারণে এবার কেউ ফাঁদে পড়েনি।’
তিনি জানান, এ ব্যাপারে আইনি ব্যবস্থা নিতে চৌগাছা থানার ওসিকে লিখিতভাবে জানানো হবে। এর আগে জাহিদুল ইসলাম চৌগাছায় ইউএনও হিসেবে যোগ দেওয়ার পর গত জুনে চক্রটি একইভাবে ফোন করে উপজেলার দরগাহপুর দাখিল মাদ্রাসার সুপার মাওলানা রবিউল ইসলামকে তার প্রতিষ্ঠানে ১১টি ল্যাপটপ দেওয়ার কথা বলে ৭৮ হাজার ৫৪০ টাকা প্রতারণার মাধ্যমে বিকাশে নিয়ে নেয়। ওই ঘটনায় চৌগাছা থানায় মামলাও হয়।