এ সময় মামলার তদন্ত কর্মকর্তা রূপগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই-তদন্ত) নাজিমউদ্দিনসহ খুলনা সদর থানার পুলিশ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
এ প্রসঙ্গে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ইসমাইল হোসেন বলেন, ‘কবর থেকে ব্যবসায়ী লিপনের লাশ উত্তোলনের পর ময়নাতদন্তের জন্য খুলনা মেডিক্যাল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়। ময়নাতদন্ত শেষে লাশ আবার দাফন করা হয়েছে।’
উল্লেখ্য, বিজিএমইএ’র সাবেক ডেপুটি সেক্রেটারি এমদাদুল হক লিপন গত ১৩ সেপ্টেম্বর তিন বন্ধুর সঙ্গে গাড়ি নিয়ে বেড়াতে বের হন। পরে তার বন্ধুরা পরিবারকে জানান, লিপন গাড়িসহ রূপগঞ্জ থানার ৩শ’ ফিট সড়কের পাশে ডোবায় পড়ে পানিতে ডুবে মারা গেছেন। এরপর নিহত লিপনের লাশ খুলনায় দাফন করা হয়। কিন্তু লাশের সঙ্গে নিহতের স্ত্রী রুমানা আক্তার না আসায় এবং তিন বন্ধুর কথায় সন্দেহ হলে পরিবারের পক্ষে লিপনের বড় ভাই এনামুল হক নারায়ণগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জ থানায় গত ১৮ সেপ্টেম্বর হত্যা মামলা দায়ের করেন। এই মামলায় লিপনের তিন বন্ধু এহতেশাম কবীর ওরফে জুন, মঞ্জুর মোর্শেদ এবং ইঞ্জিনিয়ার মাসুমকে আসামি করা হয়। তারা সবাই খুলনা মহানগরীর বাসিন্দা হলেও ঢাকায় ব্যবসা ও চাকরি করেন।
গত ২২ সেপ্টেম্বর নিহতের মা আনোয়ারা আক্তার, বোন ফেরদৌসী নাহার ও ভাই এনামুল হক খুলনা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে লিপনকে হত্যার অভিযোগ আনেন। সংবাদ সম্মেলনে তারা প্রশ্ন রাখেন, প্রাথমিকভাবে তাদের জানানো হয় লিপন গাড়ি দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন এবং তিনি নিজেই গাড়ি চালাচ্ছিলেন। অথচ ডোবা থেকে গাড়ি উদ্ধারের পর লিপনের লাশ গাড়ির পেছনে পাওয়া যায়। দুর্ঘটনা হলে গাড়িতে থাকা চারজনেরই আহত হওয়ার কথা। অথচ বাকি তিনজনের শরীরে আহতের কোনও চিহ্ন পাওয়া যায়নি। পানিতে ডুবে মারা গেলে পেট ফুলে যাওয়ার কথা। কিন্তু লিপনের দেহে তেমন কোনও আলামত পাওয়া যায়নি। এমনকি মৃত্যুর ১৫-১৬ ঘণ্টা পরেও তার নাক-মুখ দিয়ে রক্ত বের হয়েছে।